বলেন কবি বৌ-
দেখি তোমার যে কেবল কথার কারিগরী
মানুষ মনে চলছ দিয়ে কথার সুড়সুড়ি।
বলেন কবি-
তোমার কথায় আমি যে মরি মরি
অভ্যেস তোমার নেই যে মোটেই
নয়ত বলতাম খাও শুয়ে পান বিড়ি।
গোস্বায় বলেন কবি গিন্নি-
আরে এ যে সাত অধমের ধাড়ি
আছে শুধু ঠোঁটের আগায় কথার ফুল ঝুড়ি।
এত বলি শুতে আস, কর তাড়াতাড়ি
তবুও তুমি গভীর রাতে আস বিছানায়
দিয়ে হামাগুড়ি।
কহেন কবি, দিলাম এই যে থুড়ি
তুমি ছাড়া কারো মনে দিবনা সুড়সুড়ি।
দেখলে তখন অন্য কিছু
ভেঙ্গো আমার মাথায় আস্ত গাছের গুঁড়ি।
খেপে বলেন কবি বউ, অবারো তুমি
উড়াচ্ছ কথার ঘুড়ি?
কথার মাঝে কেটে দিয়ে সুতো
নাটাইটা ঘোরাচ্ছ তাড়াতাড়ি।
বলেন কবি, হও যে তুমি গোস্বা
জানেন শাশুড়ি?
কটমটিয়ে বলেন কবি বউ-
এ যে দেখি বেহদ্দেরই ধাড়ি।
খেয়াল আছে রাত ক’টা বাজে
দ্যাখ না চেয়ে হাত ঘড়ি?
বলেন কবি, মরেছি যে আমি
রাতটা গেছে বাড়ি’,
এবার দিলাম তাই লেপ মুড়ি।
সকাল বেলা বাঙ্গলা সাইটে
দেখবে যখন লেখার ছড়াছড়ি,
শূন্য থাকবে খাতাটা আমার
হবে কি বল দেখে হাত ঘড়ি?
হাঁকেন কবি-গিন্নি বেজায় রেগে
এর জন্যই কি তোমার এখন
ফেটে যাচ্ছে পেটের নাড়ী?
ও-ঠো বলছি, বিছানায় আস
কর তাড়াতাড়ি।
রম্য-১০
মোঃ মজিবুর রহমান
০৩-০৩-২০১৫ ইং।