কবি নয়, তবুও কয়েক ছত্র কবিতা
চলে আসে মনে।
পেশায় ড্রাইভার, লোকে বলে দুর্ঘট জীবন;
আমি বলি অম্ল মধুর এক রোমাঞ্চকর পেশা।
গাড়ি চালাবার ফাঁকে এই অকবির
পেটের স্বল্প বিদ্যার জং ধরা জালে
কখনও সখনও ধরা পড়ে কবিতার কিছু পঙ্ক্তি
গৌড় পান্ডব হয়ে।
মুষিকের রাজ বিলাস ভক্ষণ যেন!
হঠাৎ সে দিন যশোর থেকে ঢাকা মুখে
যাত্রা হলো শুরু।
কাঁড়ি কাঁড়ি আশার লোবান ছোট ছেলে মেয়ে দু’টর মনে।
বাবা ফিরে এলেই মেলায় যাওয়া যাবে ক্ষণ।
ছুটছে ট্রাক,
চলছে ইঞ্জিনের হাঁক ডাক।
ড্রাইভার অকবি, হয়ত খেয়েছিল দু’এক ছিলিম,
কিংবা খায়নি।
তবুও খৈনী খাওয়া নেশার মতই যেন মনে এল-
′বাঙ্গালী আমি মহা বাবুয়ান,
আছে আমার লাল সবুজের প্রাণ......।”
হঠাৎ কিসের ত্যেজালোতে ঝলসে গেল তার মুখ।
পিছন থেকে হেলপার হাঁকলো-
ওস্তাদ?
ড্রাইভার অকবি চিৎকার দিল-
চ্যালা, কোথায় আছিস, পালা।
ততোক্ষণে সব শেষ।
মানুষ নামের অমানুষ এক অকবিকে মেরেছ বোমা
যে অকবির ছিল দু’টি নিস্পাপ শিশু,
ছিল সংশার, ছিল দু’টি চোখ, ছিল হাসি, ছিল কান্না।
এখন মানুষ নামের হাইওয়ান
কবি, অকবি, দোস্ত, দুশমন সকলকে করছে খুন
আর মানুষে মানুষে বাড়ছে মৃত্যু ঋণ।
কার আছে দায়, কে আগুন নেভায়,
লম্বা হচ্ছে রাজ আজ্ঞা রেল লাইনের মত,
বাড়ছে লহু মাখা দিন।
মোঃ মজিবুর রহমান
১৯-০২-২০১৫ ইং।