সখি গো!
এল যে ফাগুন দিন
প্রাণতোষী মৃদঙ্গ বাজে প্রাণে,
হৃদয়ের চোরা কুঠরিতে তোমার ফাল্গুনি ধুন
সারঙ্গী, তানপুরা সুর হয়ে হানে!
শালিক, বৌ কুটম্ব, ফিঙ্গে যে নাচে
দেখি পলাশ, শিমুল, কৃষ্ণচূড়ার ডালে;
তোমার রক্তিম ঠোঁট, গোলাপী চিবুক
পদ্মবতীসম ভাসে হৃদয় লোবান জলে।

সখা হে!
আমি যে ষোড়শী চকোরিণী
এস তুমি বিনোদ বৈষ্ণব হয়ে প্রাণে,
তোমার বুকের গেরুয়া নিবাস
ভরাব আমি ফাগুনের মধু গানে।
দিকে দিকে আজ বসন্ত যে ভাসে
সময়ের কচড়া কে বল গুনে?
বিরহ আঁচড় হৃদয়ে কাটে দাগ
তোমা ছাড়া ভাসি শূন্য জীবনে।

সখি গো!
দারুণ এ বসন্ত দিনে মন ছোটে বসন্ত বনে
মনের মেখলায় ভাসে তোমার মুখ,
নিরজনে তোমাকে পাবার সাধ বাড়ে
বসন্ত নোনি সাধে মনে জাগে সুখ।
নিশিতে দিবাতে শুনি কোকিলা যে ডাকে
হৃদয়ে দোলে পল্লবী তোমার,
কৃষ্ণচূড়া শিমুলের ডালে ফাগুন ঝরে
দেখি তোমার চন্দ্রিমা মুখ বার বার।

সখা হে!
দেহের এ তন্বী বনে বসন্ত বাউল যে ডাকে,
শুনি তোমার কুহু-কেকা রব;
বাঁকা এ কটির পেলব মালভূমে
তোমার বসন্ত বিলাসের পাই অনুভব।
গাছে গাছে ফুলে ফুলে ভ্রমর করে যে
সন্তরণ,
তোমার ছোঁয়ায় মাতাল বৈষ্ণবী আমি
দেহ খাঁচে জাগে শিহরণ।

মোঃ মজিবুর রহমান
উত্তরা, ঢাকা।
১৬-০২-২০১৫ ইং।