আম জনতার এক ঘরে
ঢুকিলো চোর চুরি করিবার তরে।
গভীর রজনী, গৃহকর্তা জড়াজড়ি শুয়ে আছে
রমণীটিকে তার বুকে ধরে।
পুলকিত চোর
ভাবিলো আজিকে চুরিখানা হইবে বটে,
চুরি কর্মের সাথে
এমন মধুর দৃশ্য কি আর জোটে!
চলিলো হাতড়া-হাতড়ি
ক্ষিপ্র হাতের তীব্র গতির সাথে,
কখনও ডানের বাক্স, কখন বা বামের ভাঁড়ার,
কখনও টেবিলের ড্রয়ার কিংবা কাপড়ের মুটে।
গৃহ কর্তা অঘোর ঘুমে গৃহ কর্তৃকে নিয়ে
দিতেছে ঘুমের সন্তরণ,
বেটা চোরের পোয়া বারো
লক্ষি কপাল আজ! করিবে সে সোনা-দানা আজিকে হরণ।
চলিলো চুরির কসরত
সাথে গৃহ মালিকের সুখে হইল মনো যাতনা,
তারও ছিল চকচকে সোনা বউ,
চুরির দোষে ঘর ভাঙ্গি পালাইল সেই রঙ্গোনা।
ভাবিতেছিল সে সাত-পাঁচ
চুরির কাজটা চলিতেছিল অসাবধানে,
হঠাৎ তাকের উপরে রঙ্গের ডিব্বা
খুলিয়া পড়িল তাহার মুখ পানে।
হইল ইহা কি কান্ড!
রঙ্গের ভান্ড উজাড় করি’
পড়িল সব রং চোখে মুখে তার
আহা কি দৃশ্য বিভাবরি!
উঠিলো জাগিয়া গৃহ কর্তা
সাথে তার রমণী,
ছুটিলো চোর ঘরের বাহিরে
আজিকে বরাতে তাহার কি আছে কিজানি।
হাঁকিলো গৃহ স্বামী-
জাগিয়া উঠো হে সবে,
ঠ্যাঁটা চোর করিয়াছে চুরি
সুখ নিদ্রা ভাঙ্গাইয়াছে ব্যাঘাতে।
ছুটিলো চোর গ্রামের রাস্তা ধরি
মুখ মন্ডলে রং নিয়া,
যেখানে যে ছিল ছুটিলো চোরের পশ্চাতে
ধরিলো তাহাকে গিয়া।
বলিলো গৃহ স্বামী সবে’ -
চোর বেটা করিয়াছে চুরি আর নষ্ট করিয়াছে শান্তির ঘুম,
তোমরা সবাই এখন তাহারে
চালাও বেধড়ক মারের ধুম।
কাঁদিয়া কহিলো চোর-
আমি তো করিয়াছি শান্তি নষ্ট গৃহ মালিকের ঘরে,
বলনা দেখি, শাস্তি তাহাদের কী
যাহারা আম জনতার শান্তি নষ্ট করে?
মোঃ মজিবুর রহমান
উত্তরা, ঢাকা।
১১-০২-২০১৫ ইং।