স্মৃতি তুমি কখনও চলে আস কাছে তন্বী দেহের
লালপেড়ে শাড়ির মখমল হয়ে।
মোঘলের বেওয়ারিশ লাস্যময়ী নাচনেওয়ালীদের
মতই সুরের মালকোষে জাগিয়ে তোল আমাকে
তোমার নুপুরের ছন্দে।
কত গন্ধ মাধব ক্ষণ, কত অনুপম সুরের বিভাষণ
উন্মাদিত হয় তোমার অভিষারে।
শুরু হয় অধরা কাব্যের মূর্ছনা দেহের চৌ রন্ধ্রে।
কিংখাবে মোড়া তোমার তনু সাকিনের আসঙ্গ ছোঁয়া
আমার শোনিতে ঢালে গাঢ় প্রলেপ ।
সেই তুমি আবার ঘুরে আস করোটি দেহে।
কঙ্কালময় দেখি তোমার অবয়ব।
বৃশ্চিকের মতই দংশনমুখী দেখি তোমাকে।
আমার ষাটোর্দ্ধ পতনোন্মুখ জীবাত্মায়
তোমার নখদ আক্রমন অনুভব করি মুহূর্মুহ।
শুরু হয় সুখ শৈলিনীর বৈধব্য করণ।
সুখের চর্যাপদ হারিয়ে অমিত্রাক্ষরের অবরোহন
চলে আসে মনের বৈকল্য ধামে।
শিশু কিশলয়ের বকুল বকুল সুখ যেন যৌবনের
কাম রাঙ্গা বিরহে হয় মুহ্যমান।
নেতিয়ে পড়ে আনন্দ বিভাস যুবতীর বিধ্বস্ত
যৌবনের মত।
সুখের অদৃতি হারিয়ে যায় দুখের সমীকরণে।
নেপিয়ার ঘাসের চাদরে ঢাকা পড়ে মূর্খ
ঘাস ফড়িঙ্গের ফিঙ্গে নাচন।
অষাঢ়ে আষাঢ়ে মেঘের ভেলা বয়ে আনে জল কনা।
স্মৃতি তুমি ভেসে আস কখনও অনুপমা,
কখনও বিরঙ্গবতী আবার কখনও বা কুলহীনা।
তবুও তোমাকে নিয়েই আমার কুলবাস,
তোমাকে দিয়েই সাজাই মনের ক্যানভাস।
মোঃ মজিবুর রহমান
উত্তরা, ঢাকা।
০৯-০২-২০১৫ ইং।