কুমড়া গাছের লতার ডগা তোমার অঙ্গখানি
আমায় জড়াই উঠলে বেড়ে সেও আমি জানি
তোমার ওষ্ঠো মুরগা টোপ আর যেনো কলা ফুল
তারাফুলেই মানাই ভালো তোমার কানের দুল ।
দেহের রঙটি হলুদ পাপড়ি বৃষ্টি ভেজা গাঁদা
তাই তো দেহের সাথে থাকি সারাক্ষণই বাঁধা
কোকিল কেশী চুলে যখন আলতো হাত পরশে
কাশমিরী শাল আর লাগে না লেপ্টে রাখি জোসে ।
মাঠের সবুজ আনবো তুলে সবুজ শাড়ি বুনে
অঙ্গে তোমার দেই সাজিয়ে
মেহেদী রঙে হাত রাঙিয়ে
কপাল ভরে ছোট্ট একটা তিলের টিপই গুনে !
করবী আর নাটাই ফলে ঘৃঙুর পরাই পায়
হরিণ হয়ে ছুটে বেড়াও সারা মেঠো গাঁয়
কচুপাতার উপর যেমন জল করে টলমল
তোমার কপোল জুড়ে নামে খুশীর অশ্রুজল ।
সবুজ লতার মতোই অবুঝ তোমার মনের আশা
চোখ দুটিতে জানিয়ে দেয় তোমার ভালোবাসা
স্বর্ণলতা যেমন করে জড়ায় গাছের গায়ে
তেমন করে তুমি আমায় জড়াও তোমার ছায়ে ।
মৌবনেরই পুষ্পুরেণুর থেকে ভাঙা মধূ
আমার জন্য জমা রেখে ডাকছে পল্লীবধূ
কৃত্রিমতার এই যে বাঁধন নিয়ন বাতির গ্রহে
মনে আমার বিষের জ্বালা জ্বলছি বিষম দ্রোহে ।
চির হরিৎ পল্লীবধূ সবিতা তার নামে
সেথায় আমি বন্দি আছি ছেলে বেলার ধামে ।।