রাত জেগে জেগে সুখের নিকুচি করি
সকাল বেলায় লোকচক্ষুর আড়ালে
সব সুখগুলি ফেলে আসি পৌর কর্পোরেশনের ভাগাড়ে ।
সারা দিনমান পেট আর কর্তব্যের পিন্ডি চটকায়
দৈবাৎ কার্তিকের শ্বাপদের মতো ঘেউ ঘেউ কানে আসে
পাত্তা দিই না সে সবে, অসময়ে আমার তখন কি যায় আসে ?
বিকেলে সময় পেলে রমনার মাঝখান দিয়ে হেঁটে আসি
কোন ফুল চোখে পড়ে না , শুধূ সকালের বাসি শিউলি ছাড়া
আমি ভাবি ওগুলি সময়ের সুখগুলি ঝরে পড়ে আছে?
ও মনে হয় ভেংচি কেটে বলে, তুই আমার মতোই হতচ্ছাড়া ।
সেদিন ছিলো ঘন বর্ষায় মেঘের গুড়ু গুড়ু , মনটাও উড়ুউড়ু
কি মনে করে সাথে এনেছিলাম একজোড়া কদম ফুল
প্যানপ্যাসিফিক রেস্তোরার মোড়ে পথ শিশুর কাছ থেকে
হয় তো মনের অজান্তে ছিলো কিছু ভুল ।
রাতের অন্ধকারে বিদ্যুৎ চমকালে প্রচন্ড গর্জনে জাপটে ধরে
ছিলো আলতো এলো চুল
আমিও গুঁজে দিলাম সেই সে কদম ফুল ।
সাদা পতাকা প্রদর্শনে নিজেকে আত্মসমর্পন
সাত পাকে বাঁধা, সে তো চার দশকের রাধা
ব্যস, অনেক দিন পর উত্তম সুচিত্রার সাগরিকা ।
হারানো সুর ফিরে আসে অবলিলায়
তবে পথে হয় নি দেরী, দীপ জ্বেলে যায়
জীবন তৃষ্ণা ছিলো, অগ্নি পরীক্ষা শেষ
ঈন্দ্রাণী জেগে উঠে দূরীভূত হয় সব অন্ধকার ।
পাশের ফ্ল্যাটে পুরানো ক্যাসেটে বেজে উঠে কন্ঠে সতিনাথ
আকাশ বড় মেঘলা , যেও নাকো একলা
একলা যাই নি গেছি দুজনায় দূরে হারিয়ে ।।