আমার কবিতার বাংলাদেশ
সাতচল্লিশের বিভাজনে জেগে উঠে তার রঙীণ সুষমা বেশ ।
বায়ান্নোর সে রক্তঝরা একুশের রাঙা মিছিল
মায়ের ভাষায় টগবগিয়ে কবিতা হাসে খিল খিল ।
উনসত্তর আর একাত্তরে
বঞ্চনা আর বিভিষিকাতে দেশের মানুষ
নামে রাজপথে এক কাতারে
কবিতা খেলে লুকোচুরি ঘটনার ডুব সাঁতারে ।
নয় টি মাসের বীরত্ব গাঁথা আঁকা হয় কবিতায়
ছেলে হারা মায়ের কান্না সম্ভ্রম হারা বোন
ঠাঁই ফিরে পায় আনাচে কানাচে কবিতা তার কোণ ।
শত শহীদের রক্তে কেনা স্বাধীন মাতুভূমি
এটি কে ঘিরে কবিতা তার ডায়রীটা নেয় চুমি ।
চার মূলমন্ত্র কাটাছেঁড়া হয় কি দিলো বিদেশ পাড়ি
বাকি সে গনতন্ত্র বিঁধে গেলো সীমান্তের কাঁটা তারে
দুখের পারাবার জনমানবের কখনও গেলো না ছাড়ি ।
জীবন যেভাবেই চলুক না কেনো
যোগ বিয়োগ গুণ ভাজ্যে
উপজীব্য ফিরে ফিরে আসে কবিতার সাম্রাজ্যে ।
এগিয়ে চলে আমার এ দেশ ভাসে উন্নয়নের জোয়ারে
মানি কিংবা নাই বা মানি
কবিতা কিন্তু হানা দেয় বাঙালীর আনন্দ মনের দুয়ারে ।
স্বাধীন দেশে পরদেশী তার করেছে লিপ্সা বিস্তার
জঙ্গী নামের বিভৎসতায় নাই যেনো কারো নিস্তার
এখন আবার কলমের কালি নতুন কবিতার খাতা
নব উদ্যমে নব সজ্জায় মেলেছে তার পাতা ।
পরশীর সাথে জল ভাগাভাগি সীমানা নিয়ে টানাটানি
দেশ বিদেশে দিবারাত্রি অহরহ হানাহানি
এসবের মাঝে মডেল যেনো দেশ মাড়িয়ে বিদেশে
আমার বাংলা কবিতা,
শত আনন্দ বিরহে উঁচিয়ে খাকুক কলিজায় অন্তরে
যেভাবে আমার জীবন প্রবাহে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে
একান্তই আমার সবিতা ।।