ভাজা রুটির মত অস্বচ্ছ কাচের জানালা দিয়ে যখন মুক্ত বিহঙ্গের ছবি তুলি, তখন শহরে একটি সর্বনাশ ঘটে গেছে।
ক্রেন উল্টে গেছে
মানুষ চাপা পড়েছে
বর কনে বসে আছে পাশাপাশি
জীবন্ত অথচ ধূসর একটি সময়ে।
পাশের আত্মীয়টি থেতলে মরে পরে আছে
গাড়িটি থমকে আছে
চারিপাশে অসংখ্য কৃত্রিম চোখ সংগ্রহ করছে তাদের দূর্দশার চিত্র।
কারোরটা স্থির,কারোরটা গতিশীল
স্থানীয় সময় থেকে শুরু করে তথ্যবহুল এক-একটি উপস্থাপনা।
আমি যখন বিহঙ্গদের উড়েচলা দেখছিলাম
তখন শহরের একটি প্রেম যুগলবন্দী হচ্ছিল
লিফট বেয়ে বাসায় এসে দেখি সর্বনাশের ভিডিও
কাফকাকে হাত বুলিয়ে দিলাম
বল্লাম গ্রেগর স্যামসাতো একটি রাতের সময় পেয়েছিল
অথচ দেখো কত দ্রুততর সময়ে তারা বসে আছে মৃতদের সাথে
অসচ্ছ কাচের বাইরে দিয়ে উড়ে চলা বিহঙ্গরা কোথায় যাচ্ছে? কারা ওরা?
আমি ঘেমে উঠি!
বিরবির করে বলে উঠি সেই সকল অপরিতুষ্ট আত্মা!
আমি মেটামরফোসিস থেকে ভুতের গলির দিকে আগাই
শহিদুল জহির আমাকে মালিটোলা থেকে নিয়ে আসে
পরাবাস্তবতার শহরে।