আমি স্তম্বিত হয়ে তাকিয়ে দেখি
প্যাঁচ মোছোঁড়ে এই পৃথীবির গুলকধাঁধাঁ
কোথায় হতে আসে কর্ম হয় ফয়সালা যথাতথা।
কোথায় থেকে স্থির করা হয়, অগনিত!
হাজার লক্ষ কোটি মানবের বসত;
সম্পন্ন হয় খাদ্যের যোগান, বসবাসে ভিন্ন জনপদ।
গুর্ননে গুড়াপত্তনে এই ভূধরে হয় শৈল্পিক কারুকাজ
স্পুলিংকের ছোটাছুটিতে ব্যস্ত সর্বব্যাপি মানু্ষ্য
দিন রাত্রির ব্যবধানে হয় দূরাত্ব দেয় ভিন্ন ভিন্ন সাজ
পাহাড় পর্বতের শক্ত চোড়াঁ ভেদ করে,
কেমনে কি করে? জন্মায় আগাছা নামক পরগাছা
যেখানে সূর্যের আলোও পৌঁছায় না সেখানে কিকরে
বেচেঁ থাকে হাজারো কীট অথবা জীব জন্তুর বাসা
কিভাবে পৌঁছে যায় বেঁচে থাকার সব বস্তু ভান্ডার
কি করে সমুদ্রের পানী স্থির, নদীতে ঢেউ বহমান
আকাশের বুকের বাতাসইবা কই থেকে আসে
কোথা এর উৎস কোথাই বা এর শেষ অভিধান।
বিপদ আপদ, বাচাঁ মরার সংকট, আশা, দু:খ-দুর্দশা
কোথা থেকে আসে আর কিভাবে হয় এর শেষ।
কোথা থেকে আসে সাহস আর কোথায় দাম্ভিকথা
কোথা হতেই বা আসল পৃথীবির সকল প্রথা
যথা তথা কথা মানে বিশালতা, বিশ্ব গ্রহ, পুঞ্জিকা
শক্তি, গ্যাস,আগুন, পানি, মন মানসিকতা, মানবতা
সমাজ, ধর্ম, কর্ম, শিক্ষা, সংস্কৃতি, রাজনীতি
জড়তা,কার্পন্যতা,হিংশ্রতা,আদর,যত্ন,এমনকি ভালবাসা।
মান সম্মান কে বুঝাল আর কেই বা করছে রক্ষা
আমি চিনে গেছি আজ হে করুনাময় জগৎ বাদশা
কি নিদারুন ভঙ্গিমায়, নিখুঁত আর ধারাবাহিকতায়
সযর্ত্নে করেছ সৃষ্টি তুমি, তুমিই যে আমার স্রষ্টা।
আমি চাই করুনা তোমার যতদিন থাকে প্রাণ
সমগ্র জীবন শেষ করেও হবে না ওগো খোদা
তোমার সৃষ্টির গুনগান।
রচনাকাল : আজ রাত খোদার ভাবনার একটু প্রয়াশে।