হুটহাট পার করা সময় অবাধ্য ঘড়ির কাটায়
তোর ভালোবাসায় যার খেয়া ডুবে গেছে,
ধরনীর ঢেউয়ে তাহার আর ভয় বা কিসের...!
অব্যক্ত স্মৃতির দ্বারা নি:শ্বাস অনিকেত।
নিস্পন্দ আপন আমি খুয়ালে খুজতে যেওনা,
থেকো খোজের অলিক কামনায়,
ডেকো নিশীথ চিত্রের বর্ননার সেই চিত্তের ভাবে
অব্যক্ত স্মৃতির দ্বারা নি:শ্বাস অনিকেত।
এই যে সেই আমি, এই যে সেই আমি,
বলছি কোথাও যাইনি রেখে অবকাশে নীলপরী
নিকটে এসে অপূর্নতায় না যেও তবে দূরত্বে
অব্যক্ত স্মৃতির দ্বারা নি:শ্বাস অনিকেত।
নিও মোরে চিত্তে নি:সঙ্গে ঝোঁক না রেখো কদর্যে,
সেই খেয়ালে থেকে যেও, বলিও অন্তরের অন্ত:করণ,
গাহিব আমি হৃদভরে, লেখা সেই মধু-সুরের
অব্যক্ত স্মৃতির দ্বারা নি:শ্বাস অনিকেত।
চিত্তে রেখো মধুর স্মৃতি হেঁসো সে মধুর হাসি
রাগবে কি আবার অগচরে মোর সে সব ঢংএ একটু,
মধু লাগে ঢং মোর অবেগ ভীষন চক্ষুর
অব্যক্ত স্মৃতির দ্বারা নি:শ্বাস অনিকেত।
স্মৃতিতে হারিয়ে মোর মনযে ছটফটায়
সারা নিশিথ মোরই অক্ষিতে শয়ন না আসে,
মন ঘাবড়ায় মোর কিসের ভয়ে তথা পিছুটান
অব্যক্ত স্মৃতির দ্বারা নি:শ্বাস অনিকেত।
এইতো বিষন্নতায় কোনো স্বস্তি নেই যেন,
আপনার হীনা ক্ষিতিতে যেন রহম নেই যে।
আসবে যখন তুমি সাথে হাটব, বসবো কোনো তীরে
অব্যক্ত স্মৃতির দ্বারা নি:শ্বাস অনিকেত।
রহস্যের গভিরে তোমায় সৃষ্টি করে প্রতিনিয়ত নতুন রুপে।
তুমিহীনা পৃথিবীতে এক মুহূর্ত নয়,
আসবো আবার এভাবে থাকবো আমি শুধু এভাবেই
অব্যক্ত স্মৃতির দ্বারা নি:শ্বাস অনিকেত।
পাগল বেশে ঘুড়ে মরে আমার হৃদয় হয়ে অনিকেত।
কেমন এই দূঃখ, কেমন এই হৃদের মায়া-জ্বাল পিপাসা।
ছুয়ে যদি দেও কখনো ডুবে যাবো আমি ঊর্ধলকে
অব্যক্ত স্মৃতির দ্বারা নি:শ্বাস অনিকেত।
অজানা স্বপ্নের স্তুপে জেগে থাকি রাত শত,
না জানা এ কোন শহরে চলে যায় সে তো,
তবে কহিবো হৃদ থেকে হাটবো স্মৃতির পার্শ্বেলিত
অব্যক্ত স্মৃতির দ্বারা নি:শ্বাস অনিকেত।
আছি সেই পথিপার্শ্বে নজরের সামনে রেখে স্বপ্নে চেয়ে
বলে যদি দাও তুমি, তক্ষুনি থেকে যাবো আমি এভাবেই,
শুধু সেভাবেই থেকে যাবো, এভাবেই আর এভাবেই
অব্যক্ত স্মৃতির দ্বারা নি:শ্বাস অনিকেত।
অনেক দূরের একলা পথে ক্লান্ত আমি ফিরি তোমার কাছে
তোমার আঁখির দূরের আকাশে খুজি অনুভুতি।
তোমার জন্য বৃষ্টি ঝরে আমার লিপিতে,
অব্যক্ত স্মৃতির দ্বারা নি:শ্বাস অনিকেত।
তোমার কোলাহলে পথ হারিয়ে অজানায়,
এভাবে পৃথিবী একদিন নিবে বিদায়
ব্যাস্ত তোমার ওই ঢাকায়।
অব্যক্ত স্মৃতির দ্বারা নি:শ্বাস অনিকেত।