হিম-শীতল বার্তা নিয়ে শীতের আগমন,
ফুটায় ফুটায় মুক্তো দানার নিঃশব্দ পতন।
কি যে এক মনোরম-স্নিগ্ধকর-প্রাঞ্জল অনুভূতি,
শীত মানেই উৎসব!বাংলার আবহমান সংস্কৃতি।
ষড়ঋতুর রূপ-বৈচিত্রে বহমান নিবিড় প্রভাব,
বাংলার বুকে চিরচেনা এই শীতের আবির্ভাব।
তুষারাবৃত সিন্ধু-
দূর্বা ঘাস ও ধানের ডগায় দুলছে শিশির বিন্দু!
কুয়াশার চাদরে মোড়ানো শীতের সকালে,
ছেয়ে গেছে প্রকৃতি শিশির সিক্ত সরিষা ফুলে।
ফুটছে গাঁদা, আশোক, ইউক্যালিপটাস,
গোলাপ, মল্লিকা, ক্যামিলিয়া ও বাগানবিলাস।
সতেজ শাকসবজি-কলাই,পালং-লাল- লাউ শাক, ফুলকপি,
গাজর, শালগম, মুলা, বিট, শিম, বরবটি, টমেটো ও বাঁধাকপি।
শীতের আমেজ-
সকালের সোনা রোদ পোহানো মনকে করে তুলে সতেজ।
রাস্তার পাশে বাহারি স্বাদের শীতের পিঠা,
ভাপা, চিতই, পুলি ও মজাদার পাটিসাপ্টা।
সকালে খেজুর রস, গৃহিণী হাতে ডালের বড়ি,
আঙুর, আতা, ডালিম, জাম্বুরা ও বরই আহ মরি মরি।
পাকা ধানের সোনালি খেতের দৃশ্য ও নবান্ন উৎসব,
অপরূপ পরিবেশে অতিথি পাখির মুখরিত কলরব।
উৎসবমুখর পরিবেশ-
উপভোগ্য-প্রাণ চঞ্চল-আনন্দ মুখর সোনার বাংলাদেশ।
কিন্তু রূপ-রস ঝেড়ে ফেলে ফ্যাঁকাসে-পাণ্ডুর প্রকৃতি,
পত্র-পল্লব হীন গাছপালা জরাজীর্ণ-প্রাণহীন করূণ আকৃতি।
কনকনে হাড়কাঁপানো শীতে পথ শিশু-হতদরিদ্রের দুর্ভোগ,
প্রকোপ বেড়েছে সর্দি-কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ।
সচেতন থাকতে হবে যেন করোনায় ঝড়ে না কোন প্রাণ,
সম্ভাব্য দূর্যোগে সকলের সহযোগিতায় ছড়িয়ে দিতে হবে ত্রাণ।
হিমশীতল পৌষমাস-
ম্লান না হয় শীতের বৈচিত্র্য, হয় না যেন কারো সর্বনাশ।