পল্লী জীবন-
দিগন্ত-জোড়া ফসলের ক্ষেত,স্নিগ্ধ সবুজ প্রশান্তির ছায়া,
কাক ডাকা ভোরে প্রকৃতির অমীয় সজীব নির্মল হাওয়া।
টিনের চালে ঝম্ঝম্ বৃষ্টির শব্দে স্বপ্নীল আনন্দময় অনুভূতি,
জারি,সারি,ভাটিয়ালী,গাজীর পালা,যাত্রা ও ঐতিহ্যবাহী পুঁথি।
সৃষ্টিকর্তার অপরূপ নিদর্শন,
এই বাংলার গ্রামীণ জীবন !
স্মৃতির হাতছানী-
সবকিছু আজ সঞ্চয়ে নেই অনুপস্থিত চিন্তার বিপুল অংশজুড়ে,
আলো-আঁধারীর খেলায় নিমজ্জিত বিস্মৃতির অতল গহবরে!
সেই গোলাভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু আর পুকুর ভরা মাছ,
আঁকা-বাঁকা মেঠোপথ, বসতবাড়ি, সুশীতল সারি সারি গাছ।
পল্লিবালার চুড়ির রিনিঝিনি,
কিযে মধুর এর সুর মোহনী।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যবোধ-
রাখালের বাঁশির সুর,সোনালী ধানের শীষ,পুকুরে লাফ দিয়ে স্নান,
ছোট নদীর শান্ত ধারায় দক্ষিণা বাতাসে মাঝির কণ্ঠে গাওয়া গান।
সবুজ প্রান্তর, বাঁশঝাড়, হাটবাজার ও মেলা উৎসবে গ্রামীন জীবন,
সহজ সরল গ্রামীন লোক,পারিবারিক সুখ-দুঃখ স্মৃতির সংমিশ্রন।
গভীর ধর্ম বিশ্বাস-মনূষ্যত্ববোধ,
অমীয় সরলতা সুদৃঢ় ভ্রাতৃত্ববোধ।
উন্নয়নের গড়পড়তা-
সোঁদা মাটির গন্ধ,সোনা ব্যাঙ,ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক,মাছরাঙ্গার ফন্দি,
বিলুপ্তপ্রায় ঘুঘু,পাপিয়া,বৌ-কথা কও, দোয়েল,কোকিলের দূরভিসন্ধি।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর সবুজ শ্যামলীমায় শোভিত গ্রামীণ জীবনযাত্রা,
স্মীত না হয় শৈশবের স্বতঃসিদ্ধ অভিপ্রায়, চিন্তা ও কর্মের মাত্রা।
অটুট থাকুক প্রকৃতির এই অবিচ্ছেদ্য স্বচ্ছতা,
সুনিবিড় আবহে বাঙালির ঐতিহ্যের রূপকথা।
===0===