বড় একটি টিনের ড্রাম-
ডাকনা বিহীন, পানিতে ভর্তি,
পিছনে আবর্জনা স্তুপের প্রতিমূর্তি।
বিশ্রি গন্ধ, যেন মুরগীর ফ্রাম,
এরই মাঝে মানুষ নিচ্ছে বিশ্রাম,
             ঝড়ছে ক্লান্তির ঘাম-
                        অভিরাম।

পানির উপরিভাগে-
পড়ছে উড়ন্ত ধুলিকনার মসৃন আবরণ,
ভাসছে সদ্যমৃত মাছির অনশন।
কতগুলো মরছিল খানিক আগে,
কতগুলো উড়ছে খুব দ্রুতবেগে,
                   স্মিত অনুরাগে-
                        প্রাণাবেগে।

পাশের মাস্তুলে-
ডাকনাবিহীন মাছ,মাংস ও ডালের ডেক্সি,
ড্রাষ্টবিনের মাছিরা এগুলোতে নেমে পিয়াচ্ছে হু্স্কি।
এরপর রোগ-জীবানুর লাভা ফেলে,
আবার ফেরার ভরসায় যাচ্ছে চলে,
           ডিসগুলো তাদের দখলে-
                    রেখেছে আগলে।

হঠাৎ একজন নিমিষে-
হাত নাড়িয়ে মাছিগুলো তাড়ায়,
প্রানভয়ে এগুলো দিকবিদিক ছুটে যায়।
তারপর আবার ফিরে আসে,
চিরচেনা ডিসগুলোর পাশে,
            খাবারের সূবাসে-
                  নবীন বেশে।

এদিকে কারিগর-
ঘামলায় বাসি খাঁমির ঢালছে,
দু’হাতে আপন মনে ঢলছে।
উষ্ঠযুগলে তুলছে বিড়ির ঝড়,
নিকুটিনে আন্দোলিত করছে ঘর,
                   কাঁশছে খর খর-
                    ছড়াচ্ছে বিস্তর।

মূখের লালিমায়-
বিড়ির ছাই মিশে পিন্ডিত হচ্ছে খামিরে,
পানির অভাব করছে পূরন শরীরের ঘামঝরে।
চোখে জল এসে যায় ধোঁয়ায়,
লবনের অভাব করছে পূরন ফুটায় ফুটায়,
             রেগে কর্মচারীকে বকিতে চায়-
                             প্রশান্তির আশায়।

এহল ফুটপাত-
আমাদের ফুটপাতের হোটেলের অবস্থা,
এখানেই সারছি রাত্রি, দুপুর ও সকালের নাস্তা।
ছোড়ে ফেলে সকল হিংসাবাদ,
লোকলজ্জা ভয় নিন্দাবাদ,
            পেটভরে খেয়ে কারিগরকে করি আর্শিবাদ-
                 আক্ষেপ করে বলি ফুটপাত জিন্দাবাদ।        
                          ---------