সহস্রকাল জেগে আছি;
আকাশের খোলা ছাদের তলে ছড়ানো সবুজ ঘাসের মতো
চোখ থেকে শিশির তুলে মেঘেদের পানে
সাদা কোমল হাতে আমাকে ছুঁয়ে ছিল সে।
আমার কপালের ভাঁজে তার ঠোঁট
চোখে তার রূপালী জ্যোৎ্স্নার ভাঙা মুখ আমার শান্তি এনেছিল টেনে
কত শিশির ভেজা গল্প তাকে জড়িয়ে ধরে করেছিল পান্ডুলিপির আয়োজন ।
তারারা শিরিষের ডাল থেকে বেড়িয়ে এক খ' থেকে আর এক খ' এ
ঘুম ভাঙা দোয়েলের মতন হিজলের বনে মেলেছিল ডানা
কেন জানি না; শুভ্র মেঘেরা করে করেছিল বিচরণ
হাওয়ার সাথে সাথে তার আঁচল বিছিয়ে
হিম কুয়াশাকে নিয়ে ডেকে হৃদয়ের কাছে
বাঁশ বোনা সেতুটির উপর চাঁদের পানে তাকিয়ে থেকে বলেছিল সে আসবে
জন্ম থেকে জন্মান্তরে এমন এক চাঁদ জাগা পূর্নিমার রাতে
যখন ঘুমিয়ে যাবে পৃথিবীর সকল মানুষ
ঠোঁটের দ্বারে আঙুল রেখে এই হুতুমীর মতোই সে আসবে কোন এক ইতিহাস থেকে উঠে
সহস্রকাল জেগে আছি তাই;
সবাই এসেছে
ফিরে গেছে হিমেল বাতাসের বাহ
জোনাকি জেগেছিল, বাদুড়েরা জড়িয়েছিল অশন্থের শাখা
সবাই এসেছিল পুরনো ফেরার পথে---
ঐ সাদা রাজহংসী রাজহংসের চেনা ঘ্রানে
জল বেয়ে বেয়ে এসেছিল হিরণ মাঝি
এসেছিল বসন্ত;
হেমন্ত তার কথা রেখে ছিল
কেবল রাখ্লে না তুমি ......!