বাংলার মাটি থেকে মুছে যাওয়া
একটি গ্রাম
সেটা ছিল সোনার "সপ্তগ্রাম" ৷
আর ছিল বেগবতী নদী " স্বরসতী"
চারিদিকে ছড়িয়েছিল এর সুখ্যাতি ৷
এই নদীর বুকে ভাসতো
সপ্তগ্রামের সপ্তডিঙ্গা
অথৈ জলে দেখা যেত না নদীর প্রান্তসীমা
সপ্তগ্রাম ছিল এক সমৃদ্ধ বানিজ্য বন্দর
আর ছিল বাঙালীর মনে মনে
"বেহুলা— লখিন্দর" ৷
রূপসী বেহুলা বাংলার বধু
একদিন ভেসেছিল কলার ভেলা করে
সর্পদংশনে মৃত স্বামীকে জীবিত করবে
এই প্রতিঞ্জা ধরে ৷
এই নদীর জল করে টল টল
আর তার সাথে মিশেছিল
বেহুলা মায়ের চোখের জল ৷
সন্ধ্যাবেলায় জ্বালাতো রেড়ির তেলের বাতি
বিভীশিখাময় কালো অন্ধকার
পার করেছে কত দুঃস্বপ্নের রাতি
শেয়াল ডাকতো নদীর দুই পাড়ের জঙ্গলে
বুক কাঁপতো তাঁর
কোন নিরাশার অমঙ্গলে ৷
মা মনসা অভিশাপ করেছিল
চাঁদ সওদাগরে
সর্পদংশনে মরতে হবে তার পুত্র
লখিন্দরে
কিন্তু বেহুলা মায়ের পরমব্রত
আর তাঁর সতীত্ব
রাখতে পারে নি মা মনসা
তাঁর স্বামীকে মৃত ৷
হারিয়েছে সপ্তগ্রাম
আজ নেই সেই নদী
"বেহুলা—লখিন্দর" আজ যে
রূপকথার গল্প
মানুষের মনে স্মৃতি হারিয়েছে
মনে রাখতে পারে অল্পস্বল্প ৷