ধীর প্রকৃতির স্নিগ্ধ হাওয়া...
মৃদুমন্দ বাতাসে দুলছে সর্ষের সোনালী মুখ,
মৌপুকারা মন বিনিময় করছে মধুকান্ডের সনে,
সূর্যবাবু পশ্চিমে হেলে ঢেলেছে রৌদ্র বিহীন উজ্জল আলো,
নীল আকাশে বলাকার দল কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে
হঠাৎ হঠাৎ ঝাঁপ দেয় সরষে পুষ্পে,
আর ব্যাঘাত ঘটায়- মৌমাছিদের পুষ্পালিঙ্গনে,
মাঠের গা ঘেঁসে, দূরপল্লির সরক পাশে, মূর্তির নেয় দাঁড়িয়ে এসব দেখছে উঁচু উঁচু তাল গাছ।

মাঠের পরে মাঠ...
তার খুলা আকাশের বিশালতায় উড়ছে খুব প্রযত্নে গড়া ঘুড়ি,  নাটাই তাহার প্রিয়র হাতে, উড়াচ্ছে তাকে মনের মতোই,
কখনো ডোর ছেরে তারিয়ে দিচ্ছে দূর অদূরে,
আবার টেনে হেঁচড়ে নাগালেই রাখছে,
ঘুড়ি সে'তো শান্ত ভীষন, অনুগতও বটে,
স্থির হয়ে তাকিয়ে আছে নাটাই হাতের পানে।

হঠাৎ আচমকা বাতাস! অনাকাঙ্ক্ষিত ঝড়!
প্রকট বজ্রপাত, চারদিক থমথমে!
অথচ কিছুক্ষণ আগেও মেঘের পূর্বাভাস ছিল না।
ক্ষণিক পূর্বে কোলাহলে পূর্ণ আশপাশ হলো গভীর স্তব্ধ,
হলদে সরষে ডগারা ধুসর হয়ে লুটিয়ে শুয়েছে মাঠে,
মৌমাছিদের চিৎকারে থেমে গেছে পাখির কাকলি,
আকাশ হারিয়েছে রংধনুর নীল রঙ,
ঝলমলে বিকেলের সূর্যালো মিলেছে অন্ধকারে,
অসহায় ঘুড়ি প্রিয়োর নাটাই হারিয়ে হয়েছে নিঃস্ব,
ছিন্নভিন্ন হয়েছে তার বাহু, তারপর খোঁজও করেনি ঘুড়িকে আর কেহো,
শুধু ক্ষতবিক্ষত হয়ে ঝুলে আছে, মুর্তির নেয় দাঁড়িয়ে থাকা তালের কাটাবাগে বে-ওয়ারিশ ঘুড়ি ।

             ________সমাপ্ত ________