একটা মানুষ চাই...
যে ক্লেশকর লগ্নে কাঁধে হস্ত সহিত অভয় বাক্য বোঝাবে,
যে কান্না এলে অশ্রুবারি মুছে ললাটে চুম্বন এঁকে, যত্ন করে বক্ষে টানিয়া লইবে।
যার মিহি হাসিতে মম ক্লান্তি কাটিয়া হবে নিমিষেই নিরাময়;
যে হয়ে রবে অর্ধাঙ্গী, যার সঙ্গে হেঁটে হেঁটে যাব বার্ধক্যে,
যাহাতে হইবো বিলীন, করিব বিচরণ, সংসার প্রজনন।

একটা মানুষ চাই...
যাহাতে আমার আদি হতে অন্ত সব দোষ গুন রবে জমা,
যে গোছাবে আমায়, যে আমার আমিকে নিত্য নব নব রূপে করবে আবিষ্কার।
যে রবে আমার অন্তরে, ভিতরে-বাহিরে সদা-সর্বদা।
রবে গৃহ কিবা অনিকেত প্রান্তরের নির্জনতার শেষ অব্দি, আমি আমার ছায়ায় মিশে দিবসও রজনী।

হ্যাঁ একটা মানুষ চাই...
যে আমার গল্পের বিরক্তকর অধ্যায় শুনেও বলবে বড়ই চমৎকার বটে! হবে অভিভূত, হোকনা মিথ্যেই।
কখনোবা টেনে হেঁছড়ে নিশীথে গভীর ঘুম ভাঙ্গিয়ে বলবে উঠো! আমার ভয় করছে।
যার আহ্লাদ ছোট-বড় আবদারে ব্যস্ত রবো নিরন্তর..
যে মিশে রবে আমার কবিতার লাইনে, উপন্যাসের কলমে।

অথবা এইসব কিছুই না হোক, হোক সে স্ব-সত্বার স্বপ্নচারিনী,
তবুও একটা মানুষ চাই, একটা মানুষের প্রয়োজনে।
হলে হোক সে এলোমেলো, প্রশান্ত, অশান্ত কিংবা দারুন সেচ্ছাচারিনী;
আমি'ই না হয় নতুনত্ব আনিলাম আমার বাসনায়,
স্বপ্নকে বদলে দিলাম তাহার স্বপ্নে, তার মতো করে;
ভালো রাখতে, ভালো থাকতে, বাঁচাতে স্বীয় অস্তিত্বকে; আপন অভিপ্রায় ক্ষয় করে।

তবুও একটা মানুষ চাই বটে।

——————সমাপ্ত—————