হরিণ ছুটছে , পেছনে বাঘ ,
এই বুঝি ফেলে ধরে ।
ডিসকভারি চ্যানেল চলছে ,
সকলেই করজোড়ে ।
" হে ভগবান ! বেঁচে যায় যেন ,
আহা অসহায় প্রানী ।
যেভাবেই পারো বাঁচাও ঠাকুর ,
তুমি যে জগৎ স্বামী ! "
বেঁচে গেলো ওই হরিণ শাবক ,
হাততালি ওঠে বেজে ।
দুপুর গড়ায় , ধীরে ধীরে ওঠে
খাবার টেবিল সেজে ৷
" বিরিয়ানি তুমি বড়ো ভালো রাঁধো ,
মুরগীটাও তো খাসা ।
যাই বলো আজ মেনুটা কিন্তু
চিকেনে মটনে ঠাসা । "
আসলে কি জানো , মানুষ কখনো
কাউকে করেনি দয়া ।
হরিণই বাঁচুক, এই গল্পের
এটুকুই শুধু নয়া ।
বাঘের সামনে তুচ্ছ মানুষ ,
বাঘই শক্তিশালী ।
এক থাবাতেই কুপোকাৎ সব ,
এক ফুঁয়ে ধুলোবালি ।
তাইতো হারাতে না পারা ঈর্ষা
চেয়েছে বাঘই হারুক ।
যেভাবেই হোক ক্ষুদ্র হরিণ
জীবন বাঁচাতে পারুক ।
আহা কি শান্তি , আহা কি তৃপ্তি ,
হেরে গেছে বাঘ ভাগ্যিস !
চল্ চল্ সব , খেতে বসি আয় ,
আমার কিন্তু লেগপিস ।
- মহুয়া বিশ্বাস