সংসারেতে খাটনি কত ,
বুঝেছি তা বিয়ের পরে ।
তার আগে মা , কি করেছে
বুঝিনি তা ঘূণাক্ষরে ।
সময় মতো খাবার পেতাম
জামাকাপড় ধোপদুরস্ত ,
বিয়ের পরে দেখছি বউয়ে
খাটছে কেমন উদয়াস্ত ।
মনের মতো স্বাদ না হলে
সরিয়ে দিতাম ভাতের থালা ।
আড়ালে মা চোখ মুছতো
দেখেও ছিলাম অন্ধ , কালা ।
আজকে সবই দেখতে হয় ,
শুনতেও হয় রোজনামচা ।
এধার ওধার একটু হলেই
ঘন্টা খানেক মুখ ঝামটা ।
রোজই এখন স্বাদ পাচ্ছি ,
তরকারিতে , ভাতের থালায় ।
ভরিয়ে দিচ্ছি দিন রাত তার
প্রশংসা আর কথার মালায় ।
সবার কাছে বলছি যেচে
বউটা আমার ভীষণ খাটে ।
নইলে রাতে ঠাঁই হবে না
বিয়েয় পাওয়া সেগুন খাটে ।
কি জানি আজ এই অবেলায়
মাকে কেন পড়ছে মনে !
একদিনও যার খোঁজ নিইনি
সাগ্রহে বা অন্যমনে ।
হয়তো শরীর খারাপ ছিলো
ক্লান্ত ছিলো একলা ঘরে ।
হয়তো বা মন ভুগছিলো তার
মন খারাপের কঠিন জ্বরে ।
টের পাইনি , আমি তখন
বন্ধু বান্ধব পড়াশোনায়
ব্যস্ত ভীষণ , দিন কেটেছে
জন্মদিনের আনাগোনায় ।
আমার মায়ের দিন রাত সব ,
বাঁধা ছিলো আমায় ঘিরে ।
সময় মতো সবকিছু তাই
পেয়েই যেতাম ঘুরে ফিরে ।
মায়েরা সব মা- ই হয় ,
তারা কি কেউ মানুষ নাকি !!
তাইতো তাদের মন খারাপের
খবর নেওয়া আজও বাকি ।
- মহুয়া বিশ্বাস