হঠাৎ-ই ইচ্ছে , ভালোবাসা নেবে
নদীতে ডোবাবে গা ।
তড়িঘড়ি তাই বিজ্ঞাপনের
অফিসে বাড়ালে পা ।
তোমার চাহিদা ভাইরাল হলো
প্রেম এলো সারে সারে ।
এত ভীড় থেকে কি করে বুঝবে
চেয়েছিলে তুমি কারে ?
প্রসাদের মতো সবাইকে তাই
হাতে হাতে দিলে প্রেম ।
মনের পরশ কোথাও ছিলোনা
পুরোটাই ছিলো গেম ।
হঠাৎ দেখলে দূরে বসা এক
আনমনা ভিনদেশী
কোনো দিকে তার ভ্রূক্ষেপ নেই
মুখে নেই কোনো হাসি ।
কে জানে কেমনে , শখ হলো মনে
ওর প্রেম যদি পাই !
কাছে গিয়ে বসে , বললে আবেশে
তোমার কি কিছু চাই ?
সাড়া দিলো না সে , ছিলো ঠায় বসে
তোমার লাগলো ঠেস ।
মনে হলো যেন , এত তার জেদ !
স্পর্ধা তো আছে বেশ !
এরই ভালোবাসা পেতে হবে ভেবে
পণ করে নিলে মনে ।
রেখে এলে পাশে গানের দু কলি
কখনো যদি সে শোনে ।
শুনলো না গান , দেখলো না ফিরে
বসে থাকে আনমনে ।
এ উদাস ভাব হানলো আঘাত
রোখ চেপে গেলো মনে ।
যেভাবেই হোক জাগাতেই হবে
পাষাণের বুকে প্রান ।
দিন রাত সব এক করে দিলে
পিছে ফেলে সম্মান ।
বেপরোয়া হলে , কখনো বেহায়া
ঘুরে তার আগু পিছু
যত রকমের জানা ছিলো ছল
বাদ রাখলেনা কিছু ।
শেষে একদিন হাল ছেড়ে দিলে ,
ফিরে এলে নিরূপায় ।
দেখলেনা ফিরে ছোট এক ফুল
ফুটে পাষাণের গায় ।
- মহুয়া বিশ্বাস