বুক
-মোহন মণ্ডল
বিকেলের গোধূলি আলোয় দেখেছি-
তোমার মুখাবয়বে ফুঁটে ওঠা বেদনার
ছোপ ছোপ রক্ত ক্ষরন
ছড়িয়ে পড়েছিল হৃদয়ের নরম পাপড়ি বেয়ে
দেহ মনের শিরায় শিরায়-
যেন তপ্ত ম্যাগমার আগ্নেয় উৎগীরন
পুড়িয়ে দ্বগ্ধ করে প্রবাহিত হয়েছিল রক্তে রক্তে
না, কোন মুগ্ধ দর্শক হতে পারিনি
চেয়ে চেয়ে ম্যাগমার বিস্ফোরনও দেখিনি,
শুধু গলিত লাভা দ্বগ্ধ ভূখণ্ডের মতো
আগুনের নিচে বুক পেতে রেখেছিলাম
হেসে উঠছে
- মোহন মণ্ডল
হাত পুড়িয়েও কষ্ট হয়নি
পা ভেঙেও ব্যাথা পাইনি
ফেল করেও দুঃখ ছয়নি
অথচ
কোথা থেকে দুঃখ ব্যাথা কষ্ট এসে
জমাট বেধে দলা পাকিয়ে
হৃৎপিণ্ডকে কষে বাঁধতে চাইছে
আর ধারালো নখ দিয়ে ফুঁড়তে চাইছে;
আমি জিজ্ঞেস করলাম-
'তোমরা কারা'?
দুঃখ বলল 'আমি প্রেম'
ব্যাথা বলল 'আমি প্রেম'
কষ্ট বলল 'আমি প্রেম'
আমি বললাম-
'তোমরা কোথা থেকে এলে'?
ওরা বলল 'তোমার হৃদয় থেকে'
হৃদয়কে জিজ্ঞেস করলাম,
হৃদয় বলল 'ওরা প্রেম থেকে আসে'
আমি প্রেমের দিকে তাকালাম
দেখলাম-
দুঃখ কষ্ট ব্যাথারা হেসে উঠছে!
ফল্গু
-মোহন মণ্ডল
তোমার আমার প্রেমে
কোনো টানা পোড়েন এখনো ভিড় করেনি
নির্লিপ্তমনে একে অপরে স্বীকার করেছি
আমাদের হৃদয়ের অনুভূতি
এই অনুভবের রাজ্যে কোনা মরু পাহাড় বালিয়ারি নেই
একটা ফল্গু ধারা বয়ে চলেছে আপন খেয়ালে
এই ফল্গু ধারা নদী হওয়ার বাসনা
ব্যক্ত করে ছুটে যাবে মোহনা লক্ষ্য করে
অনেক বাক টানাপোড়েনে একদিন
ঢেউ তুলে পাক খেয়ে জানান দেবে
প্রকৃত নদী হয়ে মিশে যেতে চায় মন-মোহনায়!