পড়েছি আমি আনন্দমোহনে হিসাববিজ্ঞান বিভাগে,
থেকেছি আমি হেলথ অফিসার গলির প্রথম বাসাতে।
খুব বেশি মনে পড়ে সেই দিনগুলি,
হাজারো চেষ্টায় ফিরে পাবোনা সেই ক্ষণগুলো।
বিকালবেলা নদীর পাড়ে ঘুরাঘুরি,
মাঝে মাঝে গাঙিনার পাড়ে ছুটাছুটি ।
মাঝে মাঝে হোস্টেলে গিয়ে ক্রিকেট খেলা দেখা,
বাংলাদেশ হেরে গেলে কষ্ট নিয়ে মেসে ফেরা।
মনে পড়ে মশিউর স্যারের প্রাইভেটে চক্রাকারে বসা,
আজও চোখে ভাসে স্যারের সেই হাসিমুখখানা।
স্মৃতি রোমন্থন করা ছাড়া আছে কি উপায়
মেস জীবনের অনেক ঘটনা আজও হাসায়।
প্রিয় বিদ্যাপিঠ আনন্দমোহন,
স্মৃতির জলে করি অবগাহন।
বন্ধুত্বের কথা বলে করা যাবে কি শেষ?
আজও মনে পড়ে মোস্তাফিজ, হুমু,আমিন,শাহিন,শরিফ, মানিক অপুদের কথা বেশ।
বান্ধবী বলতে ছিল খুব অল্প,
মনে পড়ে মনিকা,মনি,সোয়াদ,মুন্না,কাঞ্চি,ঝুমু,জোনাকীদের গল্প।
মনে পড়ে গোলাম রব্বানী স্যারের প্রাইভেটে যাওয়া,
পরিসংখ্যানের বিষয় গুলো হৃদয়াঙ্গম করা।
এমাজ স্যার শিখিয়েছিল একাউন্টটিংয়ের যোগবিয়োগ,
জীবনের হিসাবমেলাতে আমরা এখন সবাই উৎসুক।
শহীদুল্লাহ স্যার শিখিয়েছিল ধারণা ও প্রথা,
পাস করার পর অনেকের সাথে আজও হয়নি দেখা।
অনেকের সাথে দেখা হয়তো হবেনা কোনদিন,
বন্ধুত্ব রয়ে যাবে তবুও অনন্ত সীমাহীন।
জীবন জীবিকার প্রয়োজনে আমরা আজ নানা জায়গায়,
অবসরে ছুটিতে কথা/চ্যাট হয় মোবাইল ম্যাসেন্জারে।
স্মৃতির শহর ময়মনসিংহ চিরচেনা সেই অলিগলি,
২০০৫ সালের শেষ দিনে বাড়ি এলাম চলি।
শিক্ষকতার মহান পেশায় আজ আমি নিয়োজিত,
কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত গড়ায় নিবেদিত ।