নান্দিনা জেনারেল হাসপাতালে,দিনটি ছিল একুশ সালের জানুয়ারির চার,
ঘর আলেকিত করে জন্ম হয় আমার তৃতীয় বাবার।
আত্মীয়-স্বজন,বন্ধু-বান্ধবে মুখরিত চার নম্বর কেবিন,
সবার দোয়ায় ধন্য হয় আমাদের নবীন।
চার নম্বর কেবিনে রয়ে গেল নবজাতকের ছায়া,
ভুলতে পারবনা কোনদিন সেই কেবিনের মায়া।
কেবিনের করিডোরে দাড়িয়ে দেখি নীল আকাশ,
মাঝে মাঝেই ভেসে আসে শিশুদের কান্নার আওয়াজ।
তীব্র শীতে নবজাতক চারদেয়ালে বন্দী,
সকালের নরম রোদে ভিটামিন ডি’র সাথে হয় তার সন্ধি।
এই কেবিনে রচিত হলো একটি ছেলের জন্ম কথা,
এই কেবিনেই সূচিত হলো হাসি-কান্নার কাব্য গাঁথা ।
সবার কাছে চাই যে দোয়া,আমার ছেলের জন্য,
মানুষের মতো মানুষ হয়ে ,হয় যেন সে ধন্য।
সকল শিশু বেড়ে উঠুক আদর -স্নেহ,মমতায়,
চরিত্র যেন তাঁরা গড়তে পারে ন্যায়-নীতি ও সততায়।
সব শিশুরা বেড়ে উঠুক পরম স্নেহের যত্নে,
দেশটা ভরে উঠুক যেন ,সোনার ছেলেদের রত্নে ।
শিশুদের জন্য নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তুলবো হোক আমাদের অঙ্গিকার,
বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে, বাংলাদেশ আমার অহংকার।