বাবা মরলো অন্ধ বিশ্বাসের চাপায়
মা'টা পারিবারিক রোগে
কঠিক কঠোর কর্তা ভুলের মাশুলে
ভাই বোন মরলো এক যোগে।
তিক্ত দুঃখে নিঃস্ব এতিম হয়ে জুনা
পাথর হল নিষ্ঠুর শোকে
একটু আশ্রয় কেউ দিলনা
আত্মীয় আছে আবার অনেকে।
একোন আত্মীয়, কীসের আপন,
কোন সময়ের মনোবল
জানা নেই জানি আমার
জান কি, রঙিন কালো তুমি ভূবন?
স্বাভাবিক জীবন থেকে হয়ে উচ্ছেদ
নির্মম নিষ্ঠুরতার জোরে
জীবনের রণক্ষেত্র থেকে পালিয়ে জুনা
লুকিয়েছে চার দেয়ালের ঘরে!
এখানেও দেখি আজ তাঁর উপর
হিম্মতি আইলা সিডর হানছে আঘাত
এ কেমন নির্মম নিষ্ঠুরতার জয়ধ্বনি,
কুসুম কোমলকেও উৎসাহী করে তোলে
বিপ্লবী বিদ্রোহী হয়ে করিতে প্রতিবাদ।
তোমাদের হিংসীত ডাকে জাগে যদি জুনাদ্রোহী
মেলিতে চাই রুদ্র করা দ্বার,
কে থামাবে সেই বিপ্লবী বিদ্রোহী তাঁর
সাইক্লোন, টর্নেডো, কিংবা ঝড়।
তোমাদের কাছে তাই এই মিনতি রাখি
তাঁকে আর হতে দিওনা জীবনদ্রোহী!
দিন ঢেকে আছে তাঁর অতি আধাঁরে
রাত্রি জুড়ে শুধুই দুঃস্বপ্ন আর দুঃস্বপ্ন
রাত্রিদিবার যোগ ফলে ঘৃণিত মন্দের অন্ধ
তাই তাঁরে করেছে রপ্ত।
সদানন্দময়ীর উজ্জ্বল মানব জুনারে
ত্যাগীয়েছে এতটুকুও আনন্দ
আনন্দহীনের মাঝে কি থাকতে পারে
মিষ্টি ফুলের সুভাষিত গন্ধ!
জুনার আসন্ন বৈশাখ বসন্তে প্রিয় বাবা
পরেছে গায়ে কঠিন মাটির কোর্থা
এমনই সময় সঙ্গ ছাড়িয়াছে
প্রাণপ্রিয় পরম বন্ধু জনম দুঃখিনী মাতা।
যাতনা দুঃখের পুতুল জুনা
নির্মম নিঃস্ব ঘরের মাঝ
ছন্নছেড়ার সঙ্গে খেলেধুলে কাটে তাঁর
সকাল দুপুর সাঁঝ।
দিনে রাতে কোন ক্ষণে ঘুম আসেনা
বিরহ বেদনার সঙ্গে ভাবনাতেই জেগে রয়
কার কাছে কেমনে জুনা এজীবনের কথা কয়!
বৈশাখ বসন্তে যেখানে অন্য কিশোর
করে আনন্দ উৎসব
কিন্তু কেন যেন জুনার জন্য
নিষিদ্ধ ওই সব।
জুনার জীবনে কারো কাছে তাই
নাই কোনো আর দাবি
নিরব মনে প্রশ্ন জাগে
সুখ শান্তি কেন তুই ছাবি?