হায়রে ফেসবুক!
ছেলে বুড়ো সবারে কেমন
করেছ উৎসাহী উৎসুক
তোমার বুকে মিথ্যের কালিতে
লিখতে তাদের সুখ দুঃখ।
সকাল দুপুর সন্ধ্যা রাতে
ছেলে থাকে তোমার বুকে
বাবা আসে কাজের ফাঁকে
রান্না ঘরেও তুমি থাকো
মা'র সাথে!
আর বোন সে তো তোমাকেই বানিয়েছে
জীবন মরণ সাথী,
কেউ যদি বলে নিভাও না এবার
"তুমি দুষ্টুর ফেসবুক বাতি "
জবাবে বলে "ফেসবুক ছাড়া বাঁচতে শিখিনি
কেমন করে তাই তাকে ভুলি।
হায়রে ফেসবুক!
পেঁচার ছবিতেও লিখতে বাধ্য কর
" কি সুন্দর মুখ "
কষ্টের তিক্ততাই করে দিনাতিপাত
বলছে মানুষ বিকেল করে মিথ্যে প্রভাত
চিনিনা ত কাকে কয় দুঃখ?
জীবন মোদের কাটছে অনেক বেশ
নাইকো দুঃখের লেশ।
হায়রে ফেসবুক!
মুহূর্তেই জন্ম দিচ্ছ শত শত মিথ্যুক
দুঃখিনীপুরের নিঃস্ব দুঃখ
তোমার জগতে এসে বলে
আমি হলাম অনন্তকালের সুখ।
তোমারি কল্যাণে ফেসবুক
ছেলে বলে আমি হলাম মেয়ে
মেয়ে বলে আমি ছেলে
এমন মিথ্যার বেসাতি ভাসছে আজ
ভূবন সাগরের কোলে।
হায়রে ফেসবুক!
পরে করবো এই মর্মে
বিশ্ব কাজ কর্ম করে সব সংক্ষিপ্ত
করেছ সবারে তোমার প্রতি আসক্ত
তোমার মিথ্যুক ভূবনে আসতেই হবে
এতে যেন ভূবনময়ী দায়বদ্ধ।
হায়রে ফেসবুক!
বাবা করে মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব
ছেলে করে মা'র সাথে
আর ভাই তো বোনকেই
অনুস্বরণ করে দিনে রাতে।
বসে তোমার কোলে।
হায়রে ফেসবুক!
ছেলে বুড়ো, ধনী গরিব
করে সবারে এক জোট
করেছ ক্লান্তি আর অবসর
সব তুমি লুট।
তুমি ফেসবুক!!