দাস প্রথা নেই, নেই তার কোন অস্তিত্ব
তবে, দাসের কর্মকাণ্ড বেশ আছে এখনো  
দাসের মতো দুঃখ নিয়ে কেউ কেউ  
নিরুপায় গনহত্যা, নিরপরাধ নরহত্যার কাজ করে
অন্ন বস্ত্র বাসস্থান চিকিৎসা শিক্ষার ব্যবস্থা করে
তাও আবার এই সভ্যসমাজের ওরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ মানব।
ওরাই কাটে মুণ্ডু, রক্তে রঞ্জিত করে ভিটে মাটি ঘর
পরধনে সাঁজায় নিজ শহর, পরশ্রমে ক্ষমতাধর
সাম্য আর গণতান্ত্রিক লেবাছে ওরাই বিশ্ব পরজীবী
ওরাই আসল বিশ্ব বিষক্রিয়া, মানবতার দুষ্ক্রিয়া
আপন ভিটেমাটিহীন, পর বুকে বেড়ে ওঠা
পর স্বপ্ন আশা ভক্ষণে .....!
অথচ তার বুকেই গড়ে উঠেছে এক কালো নীলের প্রাচীর
যেখান থেকে আঁকা হয় প্রতিটি যুদ্ধ, মৃত্যু আর
পৃথিবীর দীর্ঘতম ক্রন্দন এবং হাহাকারের নীল নকশা
এখান থেকেই শুরু,  
ধ্বংসের লীলাখেলা, জীবন নিয়ে ছেলেখেলা
ধর্ম বর্ণ বিভেদের বীজ বুনা।    
হিরোশীমা, নাগাশিকা, ইরাক, প্যালেস্টাইনের মতো
মায়ানমার, সিরিয়া, আফগানিস্তান পাকিস্তানের মতো
এমন আরো অনেক ঘর বাড়ি ইতিহাস ঐতিহ্যে
বীভৎসতার করুণ চুনকাম করে গেছে, করছে এখনও
কার আছে এমন সাধ্য মুছে দিবে সেই করুণের করুণ চিহ্ন?

আল-হারিজ,
রিয়াদ, সৌদি আরব।
০৩.১২.২০১৫ইং