কবিতাকে বিষাক্ত সাপের মতো তৈরি করছি
রোজ সকালে ছোবলের তালিম দেই
দুধ কলা খাইয়ে নারী শাসানোর মন্ত্র শিখায়;
নারীকে কাবু করার কৌশল শিখিয়ে ঘুম পাড়াই।
কবিতার শব্দের ভেতর নেশার চাষ করি
উন্মাদ বীজের চারা তৈরি করে দেহের উপর ছিটিয়ে দেই
হায়েনার সাথে সাক্ষাতে হিংস্র বানাই।
কবিতা এখন আর নিরপরাধ হরিণ শাবক নয়
কবিতা এখন কামার্তে বিভোর মাংসপিণ্ড নয়
কবিতার শব্দের শরীরে এখন দেহ খেকো বিষাক্ত দাঁত
কবিতা এখন বজ্র হুংকারের আগ্রাসী সর্বনাম।
কবিতাকে নেশার পেয়ালায় গোছল করাই, অপবিত্র করি
যতবার অপবিত্র হয় ততবার তার গায়ে আঁচড় কাটি
ফিসফিস করে বলে যাই নারী পটানোর মন্ত্র।
কবিতা হয়ত সমাজ বদলে দিতে পারে
কবিতা হয়ত সভ্যতা পাল্টে দিতে পারে
যেই কবিতা কিছুই পাল্টাতে পারেনি
সে না-হয় নারীর দেহে এক পেয়ালা শরাব ঢেলে দিক
আমি কবিতাকে শরাব খেকো বেয়ারা হিসেবে তৈরি করছি
কবিতাকে নারী খেকো সভ্য জঞ্জালে ঢেকে দিচ্ছি।
কবিতা- তুমি আমাকে দোষ দিও না।
কবিতা- তোমার পঙ্গুত্ব আমাকে মহান করেছে
এখন আমি সহজেই নারীর ভেতর ঢুকে যেতে পারি
ইচ্ছা করলেই হালকা ভ্রমণ শেষে ভোরের আগেই ফিরতে পারি
নয়ত নির্জন কামরায় তাকে জড়িয়ে চুম্বনের আলোয়
রাঙিয়ে দিতে পারি সাদাকালো পৃথিবীর গোপন ভদ্র সমাজ।