মনে হয় সহস্র বছর ধরে
এই মুখ দেখে দেখে ক্লান্তিহীন পথ পাড়ি দিয়ে গেছি;
হে পথ! হে পথের কোণে অচেনা পথের ছবি!
এই উত্তাল জীবনের মাঝপথে যদি পথ হারিয়ে ফেলি
খুঁজে নিস তোর ঐ পথের মোহনায়
যেখানে একটা লাল টিপ আর খোলাচুল তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকে।
হে পথ, তুই কি কবিতা হবি?
তোকে কবিতা বানাবো, হবি তুই কবিতা?
কবিতা হলেই হয়ত কোন একদিন আমি পথের ঠিকানা খুঁজে পাবো।
কবিতার মতো করে দেখবো তোকে
তুই কবিতার মতো,
তোর চোখ কবিতার মতো,
তোর চুলগুলো কবিতার মতো ছন্দ মেনে উড়ে,
তোর চোখের ভাষা কবিতার মতো অস্পষ্ট,
তোর হাসি আর ঠোঁট যেন কবিতার মতো তৃষ্ণার্ত,
তোর বুক কবিতার ভাবার্থের মতো স্ফীত,
তোর চিবুক কবিতার বয়ানের মতো ধারালো;
তুই কি কবিতা হবি?
হবি বল, এক বিনাশী কবিতা?
তুই কবিতার মতো উচ্ছল,
তোর কবিতার ঝকমকে ভ্রু
কবিতার মতো উন্মোচিত তোর পিঠ
কবিতার মতো নির্ভীক তোর চলন বলন
কবিতার মতো মিতব্যয়ী তোর কথার মারপ্যাঁচ।
কবিতার মতো সুউচ্চ পাহাড়ে তোর বাস
তোর গিরিখাত কবিতার মতো দুর্গম
তোর ভাষা কবিতার মতো নির্মম।
তুই কবিতা না হতে চাইলেই কি রক্ষা পাবি?
মনে হয় শত কোটি বছর ধরে
এই কবিতা পড়বো বলে পথ চেয়ে আছি
মনে হয় প্রস্তর যুগ হতে
কবিতায় তৃষ্ণা মেটাবো বলে তোর বুকে পেয়ালা নিয়ে আছি।
আয়, আয় হে কবিতা! তোকে পান করে
উত্তপ্ত পৃথিবীর জ্বালা মিটায়।