আজ আমার পিতা দিবস,
একান্ত ব্যক্তিগত
আজ বাবার মৃত্যু দিন।
প্রশ্ন আসে, জন্মদিনে,উক্ত দিবস
পালিত হবে না কেন?
সঠিক সাল,তারিখ অজানা?
না ,প্রশ্ন অবান্তর !
এই অধম সন্তান বাদেও
তাঁর অনেক পরম আত্মীয় জীবিত।
তাহলে.........,
বাবা মানে একটা বিশাল ছাদ
সেই ছাদ,তোমাকে রক্ষা করবে
সমস্ত প্রতিকূলতা থেকে
তুমি বড় হবে
তাঁর শিক্ষা,তাঁর আদর্শে
এটাই স্বাভাবিক
তিঁনি চান সেই সুপ্ত বীজ টিকে
বেড়া দিয়ে আগলে রেখে
বড় করতে
ও অঙ্কুরিত হোক,ও চারাগাছ হোক
ও আরও,আরও,আরও বড় হোক
ও মহীরুহ বৃক্ষ হয়ে বেড়া ভেঙে
চুরমার করে দিক
আমি সফল ।
তাই আজ আমি তোমার
মুখোমুখি
মাঝে শুধু চব্বিশটি বছর
দেখ ভালো, করে দেখ
যদি বল,হটাৎ,আজ কেন?
আমিও যে দুই পুত্র সন্তানের পিতা
তোমার সমগোত্রীয়
আজ আমাকে তোমারই মত
ছাদ,বেড়া দিয়ে তাদের
বড় করতে হবে ,পিতা...
বাবা.....আজ আমি পিতা....
তোমার সেই ছোট্ট “কুঁচো”
তুমি তেইশ কিলোমিটার
সাইকেল চালিয়ে, আমায় নিয়ে যেতে
তোমার অরবিন্দ আশ্রম এ
আর,আজ,মাত্র তিন কিলোমিটার
তাও স্কুটার করে,
আমি হাঁপিয়ে উঠি ,ওর দৌরাত্ত্বের জ্বালায়
সবসময় বাবা বাবা ।
বাবা, তোমাকে এখন
উপলব্ধি করতে পারি।
বল,কি দেখছ?
এই চব্বিশটি বছর
তুমি, যা যা ,বলেছ
আমি তাই অক্ষরে ,অক্ষরে
পালনের চেষ্টা করেছি,করে চলেই ছি....
আজও কি তুমি আমার একটু
নিরিবিলি শান্ত ছায়ায় জিরাতে দেবে না?
একাকী তাল গাছের মত
দাঁড় করিয়ে, রেখে দিয়েছ
লোকে বলে “কত তাল হয় দেখ,
এই গাছটায়,এর গুঁড়ি কত শক্ত
লোহা ও হার মানবে,কত রস.....”
আর আমি,আমার একাকীত্ব
রোদ,ঝড়,বৃষ্টি....তুমি তো সব জানো
সেই তুমিই তো আমার সাথে
এসে গল্প কর,শান্তনা দাও
নিয়তি, কার জীবন,
কেরে নিলো গো.....
পিতার পুত্র, না, পুত্রের পিতা
বিধাতাই জানে।