"ওগো পাঞ্জেরী তুমি কি কখনো জেনেছো?
বাঁধ ভাঙা উল্লাসের সেই নব্য সকালের সূর্য,
সর্বশক্তি হারিয়েছে মানুষ পেরিয়েছে কত সহ্য?
জাতিস্মর হয়েছে মানুষ পরলোক গমন ভয়ে,
দাঙ্গা ছড়িয়েছে মানুষের মাঝে পশু হয়েছে শেষে।
ধর্ম কর্ম শুধু কপচানো বুলি আস্তিকতার আড়ালে,
বিশ্বাসে চলে এই পৃথিবী সত্য কত জনে জানে?
ওগো পাঞ্জেরী তুমি কি কখনো জেনেছো?
বাতাসের শন শন শব্দে ঝিঁ ঝিঁ পোকাটা নাচে,
রোদ্দুর মাখা দুপুরে রাখালের বাঁশি বাজে।
নাও ফিরবে কখন খেয়াঘাটে কোন সে সাঁঝে,
মুসাফির পথিক কখন পাবে ফেরার পথ খুঁজে?
চিন্তা যেন গ্রাস করেছে সমস্ত প্রকৃতির মাঝে,
রাতের আলেয়ায় ভিতু মানুষগুলো শুধু চোখ বুজে।
ওগো পাঞ্জেরী তুমি কি কখনো জেনেছো?
বৃহস্পতির বলয় কত দূরে?
সাধনা অতি সহজ ফলাফল শূন্যে মেলে,
মানবজাতি হিংস্র পশুর সমান তালে চলে।
অশ্লীলতা অতি ভয়াবহ মস্তিষ্কের ডানে বামে,
ক্ষুধা শুধু পেটে নয় রয়েছে সারা শরীর জুড়ে,
সম্রাট রাজা বাদশা সবাই কল্পনার জগতে।
ওগো পাঞ্জেরী তুমি কি কখনো জেনেছো?
নীল গগনে কালো মেঘ কেন জড়ো হয়ে আসে,
নীল দরিয়ায় কেন ওঠে নতুন বালুচর ভেসে,
সবুজ প্রান্তর কেন ধূ ধূ হাহাকার অবশেষে?"