শিক্ষক পরম শ্রদ্ধার একটা নাম
পড়ান তিনি ঝরিয়ে নিজের ঘাম
খাটান মাথা জাতি গড়ার কাজে
শ্রদ্ধা- সম্মান যে তাহারে সাজে।
তবে কী ভাই কহিব, লাগে যে লাজ
অথর্ব তুমি শিক্ষক কহে আজি সমাজ
শিক্ষকের আজি নেই কোথাও স্থান
মূর্খ আজি তাহারে করে জ্ঞান দান।
সংস্কৃতি, রুচি, নীতির নাহি প্রয়োজন
বিষয় সবক কেবল, নয় কভু শাসন!
এমনি গড়িতেছে জ্ঞানী কিছু বান্দর
হবে কেমনে জাতির ভবিষ্যৎ সুন্দর?
শুনি আমি আহা কী অমিয় বাণী,
শিক্ষক নাকি জাতি গড়ার কারিগর
শুনে হাসি মনে কহি আপন সনে
কী সুন্দর তারে শুভঙ্করের ফাঁকি!
কেন তবে শিক্ষকের এত অপমান
পেনশন নিতে ঘুরে ঘুরে লবেজান?
পর-পুত্র শাসনে দিবে নিজ জীবন
আপন সন্তানে হেলায় স্নেহ বিসর্জন?
জটর-জ্বালা মিটায় করে কষ্টে টিওশন
তাও সয় না ওদের, হয় গাত্র-জ্বলন
বাঁচবে শিক্ষক তবে খেয়ে শুধু হাওয়া?
হায়রে অভাগা, কেন নাও এই পেশা।
এর চেয়ে ডের ভালো হওয়া দিন-মজুর
আত্ম-সম্মান রবে রে ভাই হলে কঠোর
করতে হবে না বিক্ষোভ, হারাবে না আঁখি!
স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকা শির উঁচু রাখি!
সরকারি, বেসরকারি আর আধা-সরকারি
রাস্তায় নামে কত নামে শিক্ষক সারি সারি!
জাতির কারিগর তুমি নহ আজো জাতীয়!
হায়রে শিক্ষকতা, প্রহসন-পেশা নিন্দনীয়!
ক্লাসে স্বাধীন নও পড়াতে চাহ যাহা
মনের আবেগ ঢালিতে পার না আহা!
মুক্তচিন্তার পীঠ তবে কেবলি কারাগার!
চিন্তন ও সৃজনশক্তি রোধের আধার!
শিক্ষকে আজ বানাইলে শুধু এক কেরানি
কণ্ঠ রুদ্ধ, ভাবনায় মৃত, স্তব্ধ তার লেখনী!
রচনাকাল:- ০২/০৯/২০২২ইং (শুক্রবার)