এই ব্রহ্মপুত্রের রুপালি বুকে
কার্তিকের নিশিথে, যখন
চাঁদ নেমে আসে।
জল আর জোসনা
মিলে-মিশে একাকার
বাতাসে চাপা সুগন্ধি ভাসে।
এমনি যামিনী কতো গিয়েছে চলে
ব্রহ্মপুত্রের বুকে,যেথায় ঢোল কলমির ফুল
ছন,আখ,ফসলের খেত দোলে।
কতো গোধূলি, কতো হেমন্তের ভোর
কতো জোসনার আলোয়
বংশি,বেহালার সুর।
বালুর উঠোনে ঝিনুকের কড়ি
ঝিকিমিকি রোদ আর আলোর ছড়াছড়ি।
অপরুপ সবুজের,শ্যামল তরু
ভাঙা নদের পাড়ে
বুক দুরুদুরু!
এখানে কৃষানীর গৃহস্থালি,
ছিলো আম,জাম,কাঠালের ঘ্রাণ।
শিশুদের ছোটাছুটি,
কৃষকের প্রাণ।
ঐ দূরে নদ-বক্ষে যেথায়, উড়ে গেলো চিল
সেখানে মাঠ ছিল,তার পাশে বিল।
বিলের পরে রাস্তা আর তারপরে, ঘর
ব্রহ্মের পুত্র সব কেড়ে নিয়ে করে দিলি পর।