একদিন হেমন্তের
এমন অঘ্রানে।
যখন রুপালি চাঁদের আলো
আকাশের সীমান্ত ছাড়িয়ে
উঠোনে পড়েছে হেলে।
গ্রামের শেষ প্রান্তে
যেখানে শিশুদের
বড়দের, সকলের।
খড়ের,পাতার ধোঁয়া।
সূর্য পরেছে হেলে।
বছরের শেষ
কেটেছে ইশকুল
পরীক্ষার রেশ।
জীবন তখনি
কেটেছে বেশ।
রাত্রি কোয়াশা
শিশির সজল।
গ্রামের পথে
নেই বিদ্যুৎ, নেই টিভি
কেবলি কাদা মাটি জল।
সাইকেল বেল বাজে
শিশুরা সাবধান!
কর্তা বাড়ি এলো
গৃহিনীর যায় প্রাণ।
সারাদিন হাট করে
ফিরেছেন বাবু।
নুন,তেল,মাছ পান
কিনে হয়েছেন কাবু।
খোকার জন্যে জামা যায়নি, কেনা
ধান বেচে কড়ি শেষ, মেটাতে দেনা।
মায়ের আচল ধরে ঠায় দাঁড়িয়ে
বিষাদের ছায়া তাকে দেয় নাড়িয়ে।
পেছন হতে বুবু কহেন ডেকে
এসো তুমি দাদু ভাই আমার বুকে।
নিরবতা ভেঙে খোকা কাঁদে হাওমাও
এতোক্ষণে কেদে উঠেন ঠাম্মাও!
এমন সোনালি রাত,সন্ধ্যের পরে
এখনো কি দেখা মেলে গ্রামের ঘরে?