ছন্দনদী অষ্টপদী-এই ফরমেটটি আমার উদ্ভাবিত ছড়া/কবিতার নতুন কাঠামো। চতুর্দশপদীর অনুরূপ অষ্টপদী। যার পঙক্তি সংখ্যা আট এবং প্রতি পঙক্তিতে থাকবে আট অক্ষর। এভাবে আট অক্ষর এবং আট পঙক্তির পরম্পরার মাধ্যমে একাধিক অষ্টপদী দ্বারা দীর্ঘ একটি ভাবকেও প্রকাশ করা যাবে। নিরীক্ষাধর্মী এই কাঠামোটির উৎকর্ষ সাধনে ছান্দসিক কবিগণের যে কোন পরামর্শ সাদরে গৃহীত হবে। আশা করি কবিতার রাসাস্বাদন থেকে কাব্যামুদি পাঠক বঞ্চিত হবেন না।
আপনাদের জন্য ধারাবাহিক এই আয়োজনে আজ ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে ৩৮-৪৬ পোস্ট দিলাম।
আহত হৃদয়
৩৮
আহত হৃদয় থেকে
থরে থরে ঝরে রক্ত
বঙ্গবন্ধুর লাগিয়া
আজো কাঁদে লাখো ভক্ত!
চেতনার করিডোরে
দ্রোহের আগুন জ্বলে
তোমার পতাকা তুলি
নভে জয় বাংলা বলে।
৩৯
তর্জনি তোমার আজো
দুঃসাহসে শূন্যে জাগে
প্রতিবাদ প্রতিরোধ
মিছিলের পুরোভাগে।
যতদিন রবে দেশ
সাগর সীমানা ঘেষে
ততোদিন রবে তুমি
এ সোনার বাংলাদেশে।
২২-০৭-২০২০
মনো মৃত্তিকায়
৪০
হেমন্তের কোন এক
ধূসর বিকেল শেষে
মুগ্ধ মাধবী আমার
লুটায় ঘুমের দেশে!
আমি থাকি পড়ে তার
বিব্রত আঁচল ঘেষে
অকথিত কথাগুলো
মরে যায় অবশেষে!
৪১
নিশির শিশিরে জমা
চোখের জলের দাগ
দেখেও বোঝেনি বলে
ভালোবাসা অনুরাগ-
সবুজ ঘাসের মতো
অজস্র তরুণ ক্ষত
মনো মৃত্তিকায় বাড়ে
অবিরাম অবিরত!
২২-০৭-২০২০
তর্জনি তরঙ্গে
৪২
এ আকাশ এ দিগন্ত
স্বপ্ন বোনা পলিমাটি
এ আমার বাংলাদেশ
মনোরম পরিপাটি!
সহস্র বছর ধরে
অজস্র সাহসী বীর
সজিব করেছে মাটি
হয়ে রক্তাক্ত শরীর!
৪৩
এ দেশের স্বাধীনতা
এসেছে তাদের দানে
তাদের ত্যাগেই আজ
মুক্তি কথা কয় কানে!
যাদের রক্তে রাঙানো
এদেশের মাটি-ঘাস
আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে
তাদেরই বসবাস!
৪৪
আমাদের আছে শেখ
মুজিবুর রহমান
মুক্তির সন্ধান দাতা
মৃত্যুঞ্জয়ী মহাপ্রাণ!
তর্জনি তরঙ্গে তার
স্বাধীন হয়েছে মাটি
তারই আদর্শ ধরে
স্বদেশের পথে হাঁটি!
৪৫
আজো যদি কোন শত্রু
এই দেশে দেয় হানা
নিশ্চিহ্ন করতে জাগি
তাদের নাম নিশানা!
চেতনার বীজ বুনে
রেখেছি এই অন্তরে
মুক্তির সংগ্রাম শেষে
যদিও না ফিরি ঘরে।
৪৬
অদ্ভুত চোখে দেখেছি
মৃত্যুকে নিয়েছে মেনে
মরেও বাঁচার মন্ত্র
গিয়েছি আমরা জেনে!
আমাদের আছে এক
তীক্ষ্ম সাহসী তর্জনি
আছে "জয় বাংলা" ধ্বনি
বিজয়ের উজ্জীবনী!
২৪-০৭-২০২০