ছন্দনদী অষ্টপদী-এই ফরমেটটি আমার উদ্ভাবিত ছড়া/কবিতার নতুন কাঠামো। চতুর্দশপদীর অনুরূপ অষ্টপদী। যার পঙক্তি সংখ্যা আট এবং প্রতি পঙক্তিতে থাকবে আট অক্ষর। এভাবে আট অক্ষর এবং আট পঙক্তির পরম্পরার মাধ্যমে একাধিক অষ্টপদী দ্বারা দীর্ঘ একটি ভাবকেও প্রকাশ করা যাবে। নিরীক্ষাধর্মী এই কাঠামোটির উৎকর্ষ সাধনে ছান্দসিক কবিগণের যে কোন পরামর্শ সাদরে গৃহীত হবে। আশা করি কবিতার রাসাস্বাদন থেকে কাব্যামুদি পাঠক বঞ্চিত হবেন না।
আপনাদের জন্য ধারাবাহিক এই আয়োজনে আজ ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে ১৭-২৭ পোস্ট দিলাম।
বিভাবের মায়াজালে
১৭
বিভাবের মায়াজালে
গেঁথে খুঁজি তার হাত
জোনাকির আলো দেখে
পার করি সারা রাত।
অভাবের সরোবর
পুড়ে দেহ করে সারা
বিদলিত হয়ে মরে
হৃদয়ের শুকতারা!
১৩-০৭-২০২০
বিধাতার লীলাখেলা
১৮
প্রকৃতির নৃত্যকলা
দেখে দেখে ভরে মন
তার মাঝে দেখি আরো
বিধাতার বিচরণ।
ফুল পাখি তরুলতা
প্রজাপতি গিরি বন
কায়াহীন মায়া হয়ে
ঘিরে থাকে সারাক্ষণ!
১৯
আকাশের ঘন নীলে
মেঘেদের ভাসে ভেলা
যেদিকেই চোখ যায়
বিধাতার লীলাখেলা!
কুরআনে দয়াময়
দিয়েছেন বিবরণ
জ্ঞানীদের তরে রাখা
এসকল নিদর্শন।
১৩-০৭-২০২০
জীবনের পথে
২০
উত্তাল উদধি এক
চোখের ভেতর ধরে
জীবনের পথে হাঁটি
শামুকের মতো করে।
বুকে জমা রাখি কত
ব্যার্থতার কালো দাগ
বোঝে নাতো কেউ মোর
অভিমান অনুরাগ!
২১
যত পথ তত মত
ভালোবাসা দিন দিন
বালিয়াড়ি দিয়ে পাড়ি
হয়ে যাবে আয়ুহীন!
আশাহীন ভাষাহীন
বাঁচা যায় কতদিন
একদিন মিটে যাবে
জীবনের সব ঋণ!
১৬-০৭-২০২০
খুব বেশি
...................
২২
খুব বেশি ভালো লাগে
চন্দ্রপ্রভা ধরাতলে
তব হাত থাকে যদি
বাঁধা এই করতলে।
আবেগের ভীরুশ্বাস
খুব বেশি ঘন হলে
তৃষাতুর হিয়াতলে
কামনার শিখা জ্বলে!
২৩
প্রশান্তির পায়রারা
বিভাবের ডানা মেলে
নীল জল সরোবরে
লীলাময় ঢেউ খেলে!
কাছে এলে থাকে ভরে
হৃদয়ের নদীনালা
দূরে গেলে পোড়ে মন
খুব বেশি বাড়ে জ্বালা!
১৬-০৭-২০২০
আবেগের আতিশয্যে
২৪
ঝলমলে প্রভাতের
হাসিমাখা লাউফুল
তব হাসি মনে করে
বার বার করি ভুল!
প্রজাপতি রঙ মেখে
ঊড়ে মন ডানা মেলে
উচ্ছ্বসিত আনন্দের
অগণন ঢেউ খেলে!
২৫
অনুপম ফুলেদের
মাঝে দেখে তব মুখ
হৃদয়ের অবতলে
খলবল করে সুখ!
বিভাবিত মন হয়
কুমুদের সরোবর
আবেগের আতিশয্যে
কেঁপে ওঠি থরথর!
১৭-০৭-২০২০
থাকিত সে যদি
২৬
উচ্ছ্বলিত আনন্দের
অনুপম স্রোত ধারা
বানের জলের মতো
ভিজায় হৃদয় পাড়া!
শীত রাত বহু দূরে
দেহ তবু কাঁপে শীতে
অধর স্পর্শের তাপ
চলে চিতার গতিতে!
২৭
প্রেমের প্লাবন আসে
আষাঢ়ী ঢলের মতো
ধুয়ে দিয়ে যায় তারা
বুকের সকল ক্ষত!
এমনি করেই যদি
থাকিত সে চিরকাল
ব্যথায় হতো না চোখ
পলাশের মতো লাল!
১৭-০৭-২০২০