ভেতরে ভাঙন চলছে। চলছে অবিরাম।
দেখার কেউই নেই। চাইও না দেখাতে কাউকে।
ভেতরের ভাঙন আড়াল করতে ঠোঁটের কোণে
ঝুলিয়ে রাখছি হাসি। ভাঙনের শব্দে কারো-
নিদ্রা ভঙ্গ হোক, কারো কপালে কপট চিন্তার ভাঁজ পড়ুক
চাই না। চাই না কারো অনুভূতির দুয়ারে
পড়ুক বিরক্তিকর টোকা।
কদম কেশরের মতোন কৌমুদী আদর
এখান থেকে উধাও হয়ে গেছে।
লাউডগার মতোন লকলকে অন্ধকারে-
ছেয়ে গেছে চারপাশ, আদিগন্ত মাঠ।
এখানে বাতাসে অবিরাম অনাদর দোল খায়
সকল আনন্দ আয়োজন ভেসে গেছে স্বার্থপরতার
তিমিরতাময় ঘন কুয়াশায়।
এখানে এখন ছেয়ে আছে নিস্ফল তরুর ছায়া
তিমিরে সাঁতার কাটে ক্লান্তি ও ক্রন্দন।
এখানে সুগন্ধী ফুল নেই। ভুল বোঝাবুঝি আছে
রক্তখেলা আছে শক্ত আক্রমণে। কেউ-
কাউকে এখানে ছাড় দেবারও নেই কোনো মানসিকতা।
এখানে সবার মধ্যে পাওয়ার প্রতিযোগিতা প্রবল
কে মরলো, কে বাঁচলো দেখার সময় নেই কারো।
হৃদয় যেন লাকড়ির চুলায় বানানো সুস্বাদু ডিমচিতই
ফু দাও, ভাঙ্গো এবং চিবাও। রক্তে কার
বুক ভেসে গেলো, ব্যথায় কে কতটা কোঁকালো
দেখার কিংবা শোনার তেমন কেউ নেই।
শঙ্কিত শহরে, প্রহরে প্রহরে সকলের শুধু
শব্দাতীত ভাঙনের খেলায় সর্বোত জেতার বিভৎস ব্যস্ততা।
২৮-০১-২০২৪