(বর্ষবরণ ১৪২৪ সংখ্যায় প্রকাশের জন্য)
উৎসবে বর্ণিল বৈশাখী সাজে
অনন্ত অবসর ছুটি নিয়ে কাজে
সারাদিন হৈ চৈ আনন্দ মাস্তি
প্রাণে প্রাণে সখ্যতা মিতালী ও দোস্তি।
দেখে প্রাণ ভরে যায়
হর্ষে মন ঊড়ে যায়
জীবনে এনে দেয় কী দারুণ স্বস্থি
সারাদিন হৈ চৈ আনন্দ মাস্তি।
বৈশাখ এলে পরে
গান গাই প্রাণ ভরে
‘মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক জরা’
উৎসবের আমেজে হই মাতোয়ারা
ব্যস্ত জীবনে অফুরান স্বস্থি
সারাদিন হৈ চৈ আনন্দ মাস্তি।
রমনার বটমূলে
মেলায় যাই সবে মিলে
ললনারা হেঁটে যায়
দেখে মন ভরে যায়
খাই দাই গান গাই
সব ব্যথা ভুলে যাই
জীবনে খুঁজে পাই কি দারুণ স্বস্থি
সারাদিন হৈ চৈ আনন্দ মাস্তি।
খেয়ে মুড়ি মুড়কি
খুকু চড়ে চরকি
বাজে ঢোল বাজে বাঁশি
সকলের মুখে হাসি
সব ব্যথা ভুলে যাই
কৈশোর ফিরে পাই
জীবনে এনে দেয় অনাবিল স্বস্থি
হৈ চৈ বৈশাখ আনন্দ মাস্তি।
বৈশাখ এনে দেয় সাম্যের সওগাত
আনন্দে মন নাচে
ভুলে যাই যাত পাত।
কোটি প্রাণ মিশে যায়
ধর্মে ও বর্ণে
মিলনের সুর বাজে মগজে ও কর্ণে।
ধরণী শুচি হয় অগ্নিস্নানে
জীবনের জরা ঘুচে আনন্দ গানে
প্রতিপ্রাণে গড়ে ওঠে সখ্যতা দোস্তি।
সারাদিন হৈ চৈ আনন্দ মাস্তি।
বৈশাখ একতার
বৈশাখ সাম্যের
বৈশাখ বণিকের
বৈশাখ কৃষকের
বৈশাখ শ্রমিকের ঘামদেহে স্বস্থি
সারাদিন হৈ চৈ আনন্দ মাস্তি।