আলোর পথের অগ্রণী অভিযাত্রী সকল কবিকে অভিনন্দন!
কবি অনিরুদ্ধ বুলবুলের পোস্টে ১৪ জুলাই ২০১৮ তারিখে অনুষ্ঠিত “আলোর মিছিল-কবিতার আসর”এর সকল চিত্র ওঠে আসাতে আমি আর বিস্তারিত কিছু লিখলাম না। তবে যে কথাটি না বললেই নয় তা হলো-
নিজের মেধা, শ্রম, সময় এবং অর্থ খরচ করে সাহিত্যের সেবা করার মানসিকতা সবার থাকে না। হাতে গোনা যে ক’জনের থাকে তাদের মধ্যে কবি অনিরুদ্ধ বুলবুল অন্যতম। তাঁর এই ডিডিকেশনকে সাধুবাদ জানাতেই হয়।
আলোর মিছিল -কবিতার আসরে যে বিষয়টি সব থেকে বেশি চিত্তাকর্ষক ছিলো সেটি হলো আসর কবিকে দেয়া চমৎকার সম্মাননা ক্রেস্ট। এটিও কবি অনিরুদ্ধ বুলবুলের পরিকল্পনা এবং নিজস্ব অর্থায়নে।
প্রত্যেক আসরে ক্রেস্ট প্রদান একার পক্ষে সম্ভব নয়। পর্যায়ক্রমে আলোর মিছিলে অংশগ্রহণকারী সকল কবির হাতে এরূপ একটি করে সম্মাননা ক্রেস্ট যাতে তুলে দিয়ে তাদের কাব্য প্রতিভার প্রতি সম্মান দেখাতে পারি সে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য সকল কবির প্রতি অনুরোধ করছি। আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে এরূপ একটি মহৎ কাজ চালু রাখা কঠিন কোনো বিষয় নয়। কেননা-
“আলোর মিছিল চলছে-চলবে
এই মিছিলের শেষ কোনোদিন হবে না তো আর
একে একে আমরা মিলে, হবো একশ হাজার।”
কবি অনিরুদ্ধ বুলবুলের একক প্রচেষ্টা ও আর্থিক সহায়তায় এ যাবত কালের আসরগুলো সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি অনুষ্ঠান আয়োজন ও ব্যবস্থাপনা, ক্রেস্ট, ফুল, আপ্যায়ন খরচ ইত্যাদি বাবদ যে পরিমাণ অর্থ খরচ হয় তা শত আন্তরিকতা সত্ত্বেও এক জনের পক্ষে সব সময় সম্ভব নয়। একজনের উপর এ দায় চাপানো উচিতও নয়। এটা সকলের নৈতিক দায়িত্ব বলে আমি মনে করি।
সুতরাং এমন একটি মহৎ আন্দোলনকে ধরে রেখে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য সকলের সমন্বিত উদ্যোগ ও ন্যূনতম অর্থ সংস্থান নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন।
উল্লেখ্য যে, প্রতি আসরে উপস্থিত কবিদের পঠিত স্বরচিত কবিতা নিয়ে ক্রোড়পত্র প্রকাশের পরিকল্পনা করা হচ্ছে যা বাস্তবায়ন হলে আমাদের লেখা কবিতাগুলো কালের সাক্ষী হয়ে থাকবে। এতেও অর্থ ব্যয়ের প্রশ্ন জড়িত।
প্রতিমাসের আসর ব্যবস্থাপনা, ক্রেস্ট প্রদান ও ক্রোড়পত্র প্রকাশের অর্থ কিভাবে যোগান দেয়া যায় এ বিষয়ে প্রাজ্ঞ কবিদের মতামত প্রদান করে আলোর মিছিলের এই অভিযাত্রা অব্যাহত রাখার আকুতি জানিয়ে শেষ করছি।
ধন্যবাদ।