ও ভাই, মায়ের সেই সবুজবর্ণ শাড়িটা কোথায়?
আমার সজলনেত্রের ক্লান্তি দূর করতে ফিরিয়ে দাও, ফিরিয়ে দাও প্রাণ ভরে শ্বাস নিয়ে মায়ের আঁচল বুকে চেপে বাঁচতে।
কোথায় লুকিয়েছো?
উত্তর দাও, নির্বাক কেন তুমি?
তোমার নীরবতা তোমার তরে কাল,
আজ আমার তরে স্পৃশ্য।
মায়ের শাড়িটা নিজেই পুড়িয়ে দিলে জিঘাংসাবৃত্তির তাপদাহে, এ কী করলে তুমি?
কতটা নোংরা তোমার মস্তিষ্কচালনা-
পড়শি'র সাথে পরকীয় উন্মাদনায় মেতে সব গচ্ছা।
অতটা চালাক না হতে পারি তবে তোমার মত নির্লজ্জ চতুষ্পদ নই কিন্তু!
ঠাওর পাই, এখনো সূর্য যথারীতি উদয়াস্ত।
পিঠ ঠেকতে দিওনা দেয়ালে, বেলা আছে।
জোচ্চুরির হাটে নিলামে বেচে সে শাড়ির অর্থে সানন্দে চিবাও পান, আঙুলের চিপায় দামী তামাকপাতার শলা বাঁকা করে ধরে মীরজাফর’এর ন্যায় মুচকি হাসিতে কী প্রমাণ করতে চাইছো..হ্যাঁ? তোমার মুখ কতটা লাল?
যাও, যাও একবার না হলেও ঐ স্বীয় স্বত্বা'র আয়নায় নিজের বেহায়া চিত্তের চিত্রপ্রতীক উপস্থাপন করে দ্যাখো-
ধৃষ্ট মুচকি হাসির আঘাতে মা কাঁদছে তোমার পেছনে দাঁড়িয়ে অদৃশ্যরূপে গুমড়ে গুমড়ে।
আর পানের পিচকারিতে কী আসে তা সমলদৃষ্টিতে নয় স্বচ্ছনেত্রে দ্যাখো-
রক্ত আসে... রক্ত।