রঙিলা পাল সেতো- মিছে মায়াজাল,
রঙচঙা অম্বর সেও তো ক্ষণেক অরূণলুপে ছন্নছাড়া। সেও তো  বিষণ্ণবদন করে-
রাখে গোটা ধরা লহমায়।
বারবার প্রশ্ন জাগে- এ কীসের আলামত
এ কোন নমুনারূপ?

গায়ের বাতাস খুনসুটি করে মেঘকে দূরে
ঠেলতেই আবার অরূণরতনের হাসি,
অরূণ বড়োই অদ্ভুত নাঃ?
আবারো বেয়ে চলছো দিগন্তের আশে।

ওহে মাঝি..তোমাতেই জানি?
তোমারই নাগালে বসে তোমারই গড়া- ডিঙায় বসে, উত্তর...না হয় তোমাকেই দিও।
কোন মিস্ত্রি গড়লো গো এমন চারু কিশতী?
একেবারেই কী চাপ-তাপ আর ঘুণমুক্ত?

দিকে দিকে হর-হামেশা বাজে..
সুরেলা কণ্ঠে বেসুরা আর ভাটির টানে
উজানের গান, এ নয় কি নশ্বরতার জানান?
তাই তো আমার খুব ভয়। জানো তো...

পূর্ব গেছে কবেই পশ্চিমে হেলে
উত্তর কি তাই পাবো বলো উত্তরে গেলে?
দক্ষিণা পবনেরও আজ শ্বাস আটকা
মাঝপথের ঘূর্ণনে উত্তরের খটকা।


স্বত্বসংরক্ষিত, রচনাকালঃ ১১/১০০/১৭ইং