আর কত?
আর কত বিভোর ঘুমে নিমগ্ন রবে?
চতুর্দিকে নিকুচি বানের জল রেসের ঘোড়ার নিদারুণ ভঙ্গিতে ছুটে বিনষ্ট করছে আবাদি ফসলাদি।
৭১এর পাকহানাদারের ন্যায় যেন অনবরুদ্ধভাবে বহাল রেখেছে ধ্বংসযজ্ঞ আঘাত হেনে-
উপঢৌকন করছে দুর্বিষহ জনজীবন।
খারাবি জলের জবরদখল যেন রাতারাতি বেড়েই চলছে আর সে জলের ঢেউ যেন জলোচ্ছ্বাসে প্রতিধ্বনিত হয়ে প্রান্তিক মানুষের সরলা কণ্ঠের আর্তনাদে পরিণত।
তবুও তুমি ঘুমে?
শুনতে কী পাওনা এ আর্তনাদ দেখতে কী পাওনা ঐ নেশাখোরেরর চোখে কী দুরবস্থা?
হ্যাঁ, জানি স্রষ্টার প্রতিটি পদক্ষেপ মঙ্গলকর, তার দেয়া সত্তাগাতে উপেক্ষার সাধ্যি নেই।
কিন্তু কিছুই কী করার নেই?
কোন দিনের জন্য জমা করছো এসব?
তোমার ঘুমানোর সেই পাহাড়ি দোলনা কাদের ঘামে আর পরমান্নের পোলাও গোশত্?
দাড়াও তাদের পাশে, চোখে জল ছিটাও কানের গোড়ায় জল,আঙুল দিয়ে দ্যাখে- এই ডুকলো বু্ঝি!
তবুও জল কানে যায় না।