বড় সাধ করে কোন এক এঁটেলো মৃত্তিকাকে- প্রেমময় বরষায় আমরণ ভেজাবে বলে হয়েছিলো তার তরে বারিধারা এ দু'নয়ন,
অতঃপর ব্যর্থ আমার সজলনেত্র,ভেজাতে পারে নাই ততকালেও মৃত্তিকা মন অশ্রুবানে এতটুকুও।
মৃত্তিকা কখনোই ছিলো না, মিছে প্রণয়ে ফেঁসে অন্তঃচক্ষু গেছে, ভুলে ফেঁপে ঐ অন্তরাকাশ ঠুকেছিল মাথা অবিনশ্বর পাথরস্তম্ভে বেহুদা এতদিন।
জীবনের শেষ চিকিচ্ছে- হতচ্ছড়া এ মন চির অবহেলিত চতুষ্পদ গাধারখাটুনি খেটে বেয়ে উঠে পাহাড়ের গায়ে ঝর্ণাধারায় ভাঙবে পাথর,
প্রকৃতির সহমর্মিতাপূর্ণ কলতানের অনুরোধও বিফল হয়ে নিথর।
বিদায় বেলায় অশ্রুঝর্ণা তার পা ধুয়ে দেয়ার সন্ধিবাতে শুনতে পেল- তোর চোখে বাতাসের ডগা, শুনতে পেয়ে তখনি পাথরের গায়ে বারিধারা আঁচড়ে প্রতিধ্বনিত কণ্ঠে- কার তরে এ জল? সেই থেকে আজও খুব হাসি।