ছুটি?
যা দিয়ে দিলাম,
তদবিরে তোর সিদ্ধি আসুক।
আমি না হয় দূর থেকে অবলোপনে মত্ত হবো-
তোর ঐ অপচেষ্টার লীলাখেলায়,
হে...হে...হে...হতচ্ছুড়ী!
কোন সে ছুটি?
তকদীরে মিললে তো পাবি,
নচেৎ নশ্বরতা ছিটকে গায়ে মেখে দেবে সার্থকতা।
অদৃশ্য বন্ধনরজ্জুর ঐ শৃঙ্খলে বাঁধা যে শিকল তা
প্রভেদ করবি কী করে রে?
প্রদীপ্ত চিত্তে পহেলা যেদিন অাঁখি মিলনে তোর ঐ ঠুনক পদযুগলে বেঁধেছিলি উদাসী নূপুর সেদিনই তো ছুটি মঞ্জুর,যথারুচি তোকেই প্রাধান্যপূর্ণ করতে মশগুল, আর আমাতে?
পিত্ত আর যকৃতে সয় না রে আজ বেশ,
একদিকে অম্লনালী বেয়ে উজানের টানে চুনাপুড়া ঢেকুর আর অন্যদিকে মুখগহ্বর চুঁইয়ে নোনাজলের দারুণ স্রোতধারা তৃষ্ণার্ত বক্ষের পানে ছুটে আসার তাগিদে সংঘর্ষণ।
অতঃপর ক্ষতবিক্ষত শ্বাসনালী-যকৃত,
হয়ে ওঠেছে সুদক্ষ জেলের হাতে নিপুণ বুননির জাল আর বাইছে মনমাঝি বুকসাগরে নিশিদিন-
কেবলি এখন অপেক্ষা।