শহরের গায়ে আজ মৌ-মৌ হাসনাহেনার সুবাস,
আকাশ ছোঁয়া বিল্ডিংয়ে সবুজ স্বর্গীয় বাতাস।
আলুথালু পায়ে সতীত্ব চলছে নিশীথ আঁধারে,
নিষিদ্ধ ইঙ্গিতে উন্মাদ যুবক-যুবতী সতীত্বর কোরবানে।
'রেডিসন, 'ব্লু গার্ডেন, লাল-নীল রঙিন নির্মল 'সমুদ্র-সৈকতে,
ভাসছে কত রাধা-কৃষ্ণ বাঁধাহীন উন্মাদ ছল-ছল সুখে।
বদ্ধ ঘরের বিলাসী-উল্লাস কুমারীর দেহ থরহরিকম্প,
ছটফট-দেহে নিশ্চল-চাহনি প্রিয়া সুখে সুখে-অশান্ত।
সতীত্বের ইতি'তে উৎসুক-বাদক বাজাবে শেষে আমোদ-বিষাণ,
যদিও ভগ্নাবশেষে রয়ে-যাবে প্রিয়ার বুকে ভস্ম-নিশান।
তাইতো থার্টি-ফার্স্ট-নাইট উন্নাসিক মনে গেয়ে যায়;
আমি অপ্সরী সাজে নর্তকী! নূপুর-তালে শিঞ্জন,
আমি নৃত্য-পাগল ঝড়-আষাঢ়ী, ক্ষ্যাপা সুপ্ত আলিঙ্গন!
আমি উন্মুখ প্রিয়ার চকিত-চাহনি মাদক লোকনৃত্য,
নেচে-যাই তাই রাতভর আমি হুঁশিয়ার হতশ্রী-দৈত্য!
আমি মৃন্ময় মৃদুমন্দ, আমি বাজাবো মৃত্যু-মৃদঙ্গ,
আমি মেধাবীর মেনিনজাইটিস আমি নগ্ন-যুবতীর রঙ্গ!
আমি শালীনতার শৃঙ্খল চূর্ণ-করিবো জাগিবো প্রতি-বৎসর,
আমি অনিয়ম সেজে আসিব-ফিরিয়া তন্দ্রায়-রবে ঈশ্বর!




উৎসর্গ: চেতনা মিশ্রিত ভাবুকমনা সভ্য সমাজের গুণী ব্যক্তিদের তরে।