একদিন পৃথিবীকে জানবো বলে-
কৈশোরের শৈশব সময়ে সাঁতার দিয়েছিলাম স্বপ্নের জলে,
আশা ছিল জীবনের অলিম্পিক খেলায় গোল্ড মেডেল আনবো সভ্যতার মাঠ থেকে।

একদিন পৃথিবীকে সাজাবো বলে-
কৈশোরের যৌবন সময়ে রহস্যময় কলম আর কাগজ হাতে নিয়েছিলাম,
আশা ছিল ন্যায় আর সততার রঙিন কারুকার্যে সাজাবো শৃঙ্খলে মোড়ানো উজ্জ্বল-পৃথিবীর বিজয়স্তম্ভ।

একদিন পৃথিবীকে ভালবাসবো বলে-
যৌবনের শৈশব সময়ে তৃষিত মানুষের জন্য মনের কোণে নির্মাল্য প্রাসাদ গড়ে ছিলাম,
আশা ছিল দুঃখের নিখুঁত চিত্র গুলো বলিদান দিবো তার আঙ্গিনায়।

অথচ কি আশ্চর্য্য!
যৌবনের টগবগে যৌবন সময়ে-
উদীয়মান স্বপ্নের টকটকে সূর্য-ফুল গুলো অন্যায় আর জুলুমের কাঠগড়ায় গঞ্জনার শিকলে-বাঁধা জিম্মি!
যেনো কর্মকুশল শক্তিশালী কর্মঠ-যৌবন অসহায়ত্বে জবুথবু! স্বৈরাচারের বিষাক্ত বুলেটে হৃদপিন্ড ছিঁড়ে যাওয়া মানুষের আর্তনাদ শুনতে অভ্যস্ত!
প্রতিবাদ করার সাহস নেই তার, আছে শুধু দক্ষিণ সমুদ্রের মতো অপ্রতিরোধ্য টাইফুন সহ্য করার আকাশচুম্বী ক্ষমতা!


ওদিকে অতিথি বার্ধক্য-
প্রস্তুতি নিচ্ছে আগামীর ফুলে ঢাকা হিংস্র-পশুর নখের আঘাতে
রক্তাক্ত শরীরে স্বাধীন মাটিতে ঘুমিয়ে পরার অগ্রিম প্রস্তুতি!!!