আমি আট-ই ফাল্গুন,
আমার অস্তিত্ব এদেশের পথে-ঘাটে সবুজের মাঠে,
আমি শার্দূল, আমার শ্রেষ্ঠত্ব অহংকারীর প্রলয়ে!
আমি নির্ভীক নির্ভুল
আমি নির্মম নিষ্ঠুর,
আমি নিষ্প্রভ করে দিয়েছি বিভাষার বিভাবরী।
আমার জন্ম হয়েছিল ১৩৫৮ বাংলায় কয়েকটি রক্তঝড়া লাল পঙ্কজ থেকে, তাই তো আমি গর্ব করি পৃথিবীর মানচিত্রে।
তবে আজ আমার জ্যোতিষ্ক গর্বের দুয়ারে কৃতাম্ত, মৃত্যু, যম!
তাঁর কাছে আমার কোন শেকায়েত নাই,স্ব জাতির গর্ভের বীজই যে আমাকে শব্দহীন বানিয়েছে!

পুরাদস্তুর পুষ্যি রক্তের ইতিহাস আজ কাঁদে বাংলার ত্রৈলোক্যে, নিজ ভাষা বাংলার বদলে ভিনবুলি চিত্তকর্ষক!
শহীদ মিনারে অ, আ, ই নানা বর্ণময় অঙ্কিত নকশা'ই কি মাতৃভাষার প্রতি সম্মান!? শিক্ষা-সংস্কৃতি, গাড়ি-ঘোড়া, হাট-বাজার, অফিস-আদালত যত্রতত্র ভিনভাষা কি তোমাদের উপাস্য উন্নতির উদাহরণ?

আমি "মাতৃভাষা দিবস" কলঙ্কের নিন্দিত তীরে দাঁড়িয়ে-
হে বাংলাদেশ তোমাকে বলছি;
আমার রক্তে ভেজা অস্তিত্বের ঝাণ্ডা একুশের বুকে পুতে আমার সাথে বেঈমানী করেছো!




বিঃদ্রঃ কবিতাটি শুধুমাত্র আমার নিজ ভাবনায় রচিত।

কবিতাটি মোনায়েম সাহিত্যের উদ্যোগ নেওয়া ;
আনন্দে মাতি
২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক
মাতৃভাষা দিবস বিশেষ
সংখ্যার জন্য।