শুক্ল-দ্বাদশীর অপূর্ণ-চাঁদ ভোরকে যখন করে চুম্বন,
প্রভাতী সুখ-নূরে খসরুর প্রাসাদ তখন ভয়ে কম্পন।
সৃষ্টি-রহস্যের অতৃপ্ত বিরহ-বেদনা গুলো যখন খুশীতে মূর্ছিত,
যুগ-যুগান্তরের প্রতীক্ষির মৃগাঙ্ক হিল্লোলিত-মুখরিত।
সময়ের বুক ছিঁড়ে খোদ তারিণী সময় যখন এলো বারো,
মরু-দিগন্তে নিভৃত কুটিরে উজ্জল পূর্ণতার আলো।

পূণ্যময়ী সব নারীদের আগমন;  এ-কি কুটির দৃশ্য,
হাওয়া, মরিয়মরা সব এসেছে যেন বেহেস্ত-জননী নিঃস্ব।
আগমন অতিথির; তাই চন্দ্র-সূর্য খুশীতে আত্মহারা,
আলোকিত কা'বার ঘর, শত দেব-মূর্তি নিষ্ফলা।
প্রভাতের স্নিগ্ধতায় আমিনার কোলে চাঁদ হাসে,
শত কোরবানীর ফসল মুত্তালিব পেয়ে, খুশীতে কাঁদে।
জলে-স্থলে, ফুলে-ফলে ধ্বনিত ইয়া রাসূলুল্লাহ মারহাবা,
বিশ্ববীণাতারে সুর উঠেছে; নাচছে রবি-শশী-গ্রহ-তারা।


বিঃদ্রঃ আজ রবিউল আউয়াল মাসের বারো তারিখ।
আজ সর্ব শ্রেষ্ঠ পয়গম্বর, নিখিল বিশ্বের অনন্ত কল্যাণ ও মূর্ত আশীর্বাদ,  মানব জাতির চরম ও পরম আদর্শ, স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সা. এর জন্মদিন ও পরলোকগমন দিন।
এই দিন বিশ্ববাসীর জন্য যেমন সুখের তেমন দুঃখের। আমরা এই কল্যাণকামী মানবতার দূতকে বেদনায় জায়গায় দাঁড়িয়ে, দুঃখ বুকে চেপে ধরে, শুধুমাত্র তাঁর আগমনী মহাআনন্দে; বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি।
আসুন শপথ গ্রহণ করি; তাঁর আদর্শকে সমুজ্জ্বল রেখে পৃথিবীতে শান্তি ফিরে আনার চেষ্টা করি। এই কঠিন মুহূর্তে তাঁর রেখে যাওয়া আদর্শই একমাত্র মুক্তির পথ।