সময়ের গালে চুমু খেয়ে
এলো যখন বিকেল,
পথের মাঝে চলছি আমি
বইছে বাতাস হিমেল।
কন্টিনেন্টালে গিয়ে দেখি
ময়না সোনা বই,
অযত্নে কাঁদছে কেমন
যেন নেই তাঁর সই।
অবশেষে ঝেড়েমুছে যখন
নিয়ে আসলাম বাসা,
এক নিমেষেই শেষ হল যেন
বিরহের ইতিকথা।
এখানে যাদের পেলাম খুঁজে
যেন একে অপরের ভাই,
শত ব্যস্ততার মাঝেও তাদের
একটু গান গাই।
ফুল ফুটেছে এই বাগানে
যার অক্লান্ত শ্রমের করুণায়,
শ্রদ্ধা জানাই গভীর থেকে
তাঁর সার্থক সম্পাদনায়।
........কবিদের বর্ণক্রমিক নাম অনুসারে ........
অনিমেষ চোখ আজ আমার দাঁড়ায় নীরবে
তাঁর যাপিত জীবনের শ্রাবণ ধারায় জলে,
শেষ বেলার হাত ধরে চলা গোধূলি বেলার মোড়ে
অনিরুদ্ধ বুলবুলের সুর আজ আমায় কাঁদায় একাকীত্বের ক্ষণে!
.
ওগো পল্লব? আনন্দের এই সকল প্রাতে
গোপন দূত চুমু দেয় দেখো তোমার সূর্য্যলোকে,
আমাদের মায়ার বাঁধনে বাঁধতে আসলে কোত্থেকে
সৌখিনদের হরষ আজ উঠছে কেঁপে কেঁপে!
.
সাহিত্যের এই রুদ্র আলোকের আকাশতলে
"চৈতন্যের জলতরঙ্গ" ভাসছে যেন কবীর হুমায়ূনের চোখের জলে, বিদায়ের সমীরণে আজ সন্ধ্যা নামে যার ঘরে
হাজার ফুল আর শ্রদ্ধা-ভক্তি রাখি তাঁর চরণ তলে!
.
প্রেমের হাওয়ায় আগুন জ্বেলে কে কাঁদে
দুঃখ আঘাত পেলেও হাসিটা কার সাজে,
কে ভাই সে? প্রশ্নটা আসলে তোমার মনে
প্রেমের গীতসুধারস সব পাবে কামরুন্নাহারের আঁচল তলে!
.
বাজাও কে গো বাঁশি নিশীথ রাতে করুণ সুরে
এক নিমেষেই যাই বুঝি ভেসে গ্রহশশীর অচিন পুরে,
জানিনা কোন সুর আজ বাজছে তাঁর বীণার তারে
ওহো, কামরুল ইসলাম নিয়েছে দেখছি আমার ঘুম কেড়ে!
.
অপসংস্কৃতির দুয়ার যেন খুলে গেছে
পথিক নেই যেন কোনো পথে,
স্বপ্ন গুলো আজ পরাজিত আপন আপন মন রথে।
সমাজ যখন ধুলোয় গড়ায় আপন সংস্কৃতির পিছন ভুলে
রুখবার তরে কৌশিক আজাদ প্রণয় এসেছে তাই এই প্রভাতে!
.
জীবন তাঁর যায় ভেসে যায় আপন মনে পাল তুলে
যাত্রা পথ যায় ভুলে যায় পিছন যেন পড়ে মনে,
একলা পথের পথিক হয়ে যাচ্ছে যে জন জন্ম ছেড়ে
কবি খলিল সে ভাই(?) ভালবাসা দিয়ে যাচ্ছে তাই উজাড় করে!
.
পুঞ্জ পুঞ্জ ভারে ভারে হাত'টি ধরো অন্ধকারে
চোখ ও হাতের ভাষা বুঝে নেবে প্রাণে প্রাণে,
পাগলা হাওয়ার এমন ক্ষণে নৃত্যের মহাতানে
খয়রুল আহসানের কবিতার সুর বারণ যেন না মানে!
.
অর্থহীন অরণ্যের বাণীরধারা পরবে আকাশ ফেটে
হবে হবে প্রভাত হবে আঁধার যাবে কেটে,
সখি, ডেকে এনেছে তোমাকে কবিতায় সেরা উপহারে
তবুও জসীম উদ্দীন তোমার, হাঁটে অর্থহীন গহীন অরণ্যে!
.
প্রেমের সুর উঠছে যেন চিত্তবীণার তারে
ভালোবাসার জোনাক উঠছে মেতে যে ধারে আঁধার নামে,
সেই সুরেতে সুর তুলেছে জালাল উদ্দিন প্রিয়ার পরশ পাড়ে
দিয়ো না গো দিয়ো না প্রিয় ধুলোয় তাকে শুতে!
.
"বড়লোকের পোষ্য পশুও থাকে কি আড়ম্বরে
সৃষ্টির সেরা মনুষ্য জীবন কাটায় কেন ভাঙ্গা ঘরে",
ব্যাথার সোনার তানে মানুষের গান যে যায় গেয়ে
হাজার কবির চেতনার ভিড়ে নুরুল ইসলাম তাই আজ যায় কেঁদে!
কি লাভ হবে রহস্য খুঁজে আগুনে পোড়া ছাইয়ের মাঝে
হয়তো লোহা কন্ঠহারা উৎসুক চোখে কারণ খোঁজে,
এমন সুন্দর কথার জাদু কে ছুঁড়ে ভাই এই খানে (?)
আরে, সেই সাধনার মিলন ঘটে রুহুল আমিনের কাব্য মাঝে!
ছন্দের হাওয়াই মিঠাই বন্দি যার মুখ মোড়া কাঁচের বাক্সে
সময়ের সাধনা, সবার অরাধনা, ছুটছে দেখো তাঁর পিছে পিছে,
ডাইরির পাতা ভরে যায় যার কোমল মায়ার দানে
শাহীন আহমদ রেজা নাম তাঁর বলি গানে গানে!
,
"মাঝ রাতে সুকরুণ সুরের মাঝ পথে,
গীটারের তার ছিঁড়ে ধ্বনিরা ছিটকে পরে
ঘরের অন্ধকার কোণে কোণে",
এমন শব্দচাষী যে সরকার মুনীর ভাবি মনে মনে
শুনবো বাণী বিশ্ববাসী তাঁর কাব্যের কলরবে!
,
ফেরেনি একলা শুন্য হাতে শত্রু-ভয়ে লেজ গুটিয়ে
লিখেছে নাম লাল-সবুজ-বৃত্তের হৃদয় মাঝে,
বিরামহীন বিজুলিঘাতে নিদ্রাহারা চোখে মুক্তির পথে পথে
লাশের স্তূপ থেকে সানাউল্লাহ এনেছে মানচিত্র রক্ত দিনের ভোরে!
(শত ব্যস্ততার মাঝেও খুব অল্প সময়ে লেখা)