হে কালের মহানায়কগণ, বিপন্ন মানুষের আলোর দ্যুতি!
তোমাদের স্পর্শে কত না কুলপতির
হাজার বছরের রক্তসংঘাতের অবসান ঘটেছে,
টেনে দিয়েছে সংঘাতের ইতি, ফিরিয়ে দিয়েছে সভ্য সমাজ।
কত না অন্ধকারে নিমজ্জিত জাতি পেয়েছে নিজ নিজ ব্যাক্তি
জীবনে প্রাঞ্জল জীবনের অস্তিত্ব!

লাঙ্গল জোয়ালে খেটে খাওয়া মা বাবার ঘাম স্রোতের সমুদ্রে-
কত যে সন্তান মুঠো মুঠো সুখের নৌকা ভিড়িয়েছে তীরে
পূর্ণ করেছে বাবার স্বপ্ন, তোমাদের অবদানে!
আজকের এ পোড়ামাটির রহস্যময় বিজ্ঞানের সাফল্যের
পৃথিবী, তোমাদের হাতে গড়া কাদা-মাটির সাধারণ
সন্তানদের'ই সফলতার অর্জন।

কাব্যের জগতে তোমাদের জ্ঞানের ধূলি কপালে মেখে-
নজরুল হয়েছে বিদ্রোহী!,
শব্দের শক্তিশালী তলোয়ার চালিয়ে বোধের ভুল চেতনায়
গড়ে তুলেছেন আগুন তুফান,
আর রেখে গেছেন কাব্যের পৃথিবীতে এক কালজয়ী নতুন ইতিহাস।

তোমাদের শেখানো অ, আ, ই এর তর্জনী ধরে-
সাহিত্যের  পথে পথে গুটি গুটি পায়ে হেঁটে;
সুলি প্রুধোম, জিওসুয়ে কার্দুচ্চি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,
আনাতোল ফ্রঁস, আইভানফ্রান্স, গিয়র্গোস সেফেরিস,
টনি মরিসন, ডোরিস লেসিং, মারিও বার্গাস ইয়োসা,
এলিয়াস কানেত্তি, হাইন্রিখ বোল, হের্টা মুলার,
প্যাত্রিক মোদিযানো আরো কতজন নিজেদেরকে করেছে ধন্য,
কুড়িয়ে এনে দিয়েছে স্ব-স্ব জাতির কাছে-
নোবেলের মত সম্মানের তাজ!
গর্বিত করেছে বাবার মুখ!
অর্জন করেছে মায়ের চোখের সুখের জল!

আজ জগতের দেওয়া এ সম্মান এ খ্যাতি-
তোমাদের চরণ তলে রেখে দিলাম!
বিধাতার কাছে ফরিয়াদ একটাই, চির উন্নত রাখুক
তোমাদের সম্মান!!!



উৎসর্গ : আমার পল্লী মায়ের আঁচল তলে সূর্য-সন্তান মানুষ গড়ার কারিগর স্যার ইমদাদুল হক, স্যার আব্দুল বাতেন , স্যার হাছেন আলী, ও প্রধান শিক্ষক ইয়াকুব সরদার কে। যাদের হাতে আমার অ, আ, ই শেখা! যাদের তৈরি কাদা-মাটির আজকের এই আমি! যারা আমার মানুষ হবার প্রথম ইতিহাস! যাদের হাতের স্পর্শে আমার সুন্দর ভবিষ্যত!

আমি আজ বিনম্র শ্রদ্ধার সহিত স্মরণ করছি পৃথিবীর এমন সব সন্তানদের, যাদের আলোয় আলোকিত আজকের এই পৃথিবী!